ভোট হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি

ভোট হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের দিন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইদিন বৃহস্পতিবার হওয়ায় ভোটারদের সুবিধার্থে তার আগের দিন বুধবারসহ মোট দুই দিন সরকারি ছুটি চেয়ে সরকারের কাছে চিঠিও দিয়েছে ইসি। ফলে এদিন ভোট হলে পরদিন শুক্র ও শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি
গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু
গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু
‘জাহাজ নোঙর করতে পারিনি, আমাদের জীবন এখন ঝুঁকিতে’
‘জাহাজ নোঙর করতে পারিনি, আমাদের জীবন এখন ঝুঁকিতে’
বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ সামগ্রীর মিশ্রণ তৈরি, স্বাস্থ্যঝুঁকি
বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ সামগ্রীর মিশ্রণ তৈরি, স্বাস্থ্যঝুঁকি
বিদ্যালয়ের সামনে জলাশয় ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
বিদ্যালয়ের সামনে জলাশয় ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা
ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা
নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন
নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন
  • বেগম খালেদা জিয়ার অবিচল পথচলা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যাদের উপস্থিতি সময়ের স্রোতে শুধু নেতৃত্ব নয়, মানবিক শক্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। বেগম খালেদা জিয়া সেই বিরল নামগুলোর একটি। তিনি প্রতিটি অধ্যায়ে নিজের দায়িত্ব, সংযম এবং নৈতিকতার মাধ্যমে দেখিয়েছেন নেতৃত্ব শব্দের উচ্চতায় নয় চরিত্রের গভীরতায় গড়ে ওঠে। আমার দৃষ্টিতে তার এই সংযম এবং আত্মশক্তিই তাকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন প্রতিহিংসামুক্ত পথেই একটি জাতিকে সামনে এগিয়ে দেওয়া যায়। বাংলাদেশের সংকটগুলো যতবার প্রবল হয়েছে, ততবার তার শান্ত উপস্থিতি মানুষকে নতুন আশার দিকে ডাক দিয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, তিনি রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার এক নীরব অথচ গভীর আলোকবর্তিকা। আমরা দেখতে পাই, তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন ইতিহাসের এক

    দেশের জনসংখ্যা নীতি কি ঠিক পথে চলছে

    বাংলাদেশের জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া দুরূহ; কারণ, জনসংখ্যাকে কম করে দেখানোর প্রবণতা দেশের ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর মজ্জাগত। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে জনসংখ্যাকে মারাত্মকভাবে কম দেখানোর অভিযোগ ওঠার পর বিআইডিএস পুনর্গণনা জরিপে বলা হয়েছিল, দেশের উল্লেখযোগ্য অনুপাতের খানায়/বাড়িতে কোনো গণনাকারী আদৌ যায়নি মর্মে প্রমাণ মিলেছে। এ ধরনের ত্রুটির ফলে কাজীর গরু আর গোয়ালের গরুর হিসাবে বড় ধরনের গড়বড় হয়ে গেছে। বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বৃহৎ জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। এক বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১ হাজার ১২০ জন মানুষের বাস এ দেশে। জনসংখ্যার এ মাত্রাতিরিক্ত ঘনত্বের জন্যই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনার ব্যাপারে হতাশা

    অসময়ে বিপজ্জনক ডেঙ্গু

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট্ট নাদিয়া জান্নাত তাসকিয়ার মৃত্যু যেন আরেকবার মনে করিয়ে দিল ডেঙ্গু কেবল একটি মৌসুমি রোগ নয়, এটি এখন সারা দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর একটি। চিকিৎসার জন্য ওষুধের দোকান নির্ভরতা, সঠিক সময়ে হাসপাতালে না পৌঁছাতে পারা, আর হাসপাতালেও সর্বোচ্চ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়া নাদিয়ার গল্প আজ হাজারো পরিবারের গল্প। এ বছর ডেঙ্গুতে ৩৯৪ জনের মৃত্যু এবং প্রায় এক লাখ মানুষের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া স্পষ্ট করে দিয়েছে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি এখনো অপ্রতুল। শিশুদের মৃত্যুর সংখ্যা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। এক বছরে ৭০টি শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু থেকে শুরু করে কিশোর, সব বয়সের শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
  • মামলাজট হ্রাসে ভূমিকা রাখবে

    জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা বিলুপ্ত করে আইনগত সহায়তা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত করা হয়েছে সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়া। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে খসড়া অধ্যাদেশটি। যেহেতু দেশের সব নাগরিক যেন আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হন, এটাই এর চূড়ান্ত লক্ষ্য, ফলে আমরা উদ্যোগটির সফলতা কামনা করি। এর আগে ২০০০ সালে আর্থিক সংকটের কারণে যেন নাগরিকরা আইনের আশ্রয় লাভের ক্ষেত্রে সমতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন, এজন্য ‘আইনগত সহায়তা প্রদান’ আইন করা হয়। ২০০৯ থেকে গত মার্চ পর্যন্ত এ সংস্থায় প্রায় ১২ লাখ অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী

    হাছন রাজা

    হাছন রাজা মরমি কবি। তিনি ১৮৫৪ সালে সুনামগঞ্জ শহরের কাছে সুরমা নদীর তীরে লক্ষ্মণশ্রী পরগনার তেঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার। হাছন রাজা তার তৃতীয় পুত্র। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষ্মণশ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে বিশাল অঞ্চলের জমিদার ছিলেন মরমি গীতিকবি হাসন রাজা। ১৫ বছর বয়সে তিনি জমিদারিতে অভিষিক্ত হন। হাছন রাজার গানের বিচিত্রতা লক্ষণীয়। মানবিকবোধকে তিনি উচ্চস্তরে স্থান দিয়েছেন। তার গানে মমত্ব, ভ্রাতৃত্ব, সংহতি এবং সহনশীলতাবোধের গভীর দিকদর্শনের পাশাপাশি রয়েছে সম্প্রীতির কথা। হাছন রাজার গবেষণা-সাধনা ও শিল্পকর্ম ছিল গণকল্যাণমুখী। তিনি বিখ্যাত জমিদার ছিলেন। আবার ছিলেন সুরের সাধক। কবির নিজের সৃষ্টিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দাঁড়

    তারেক মাসুদ

    তারেক মাসুদ খ্যাতিমান বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক এবং গীতিকার। তিনি ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম নুরুন নাহার মাসুদ ও বাবা মশিউর রহমান মাসুদ এবং স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ। ভাঙ্গা ঈদগাহ মাদ্রাসায় প্রথম পড়াশোনা শুরু করেন। একপর্যায়ে গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রথমে নটর ডেম কলেজে ভর্তি হলেও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন থেকেই লেখক শিবির, বাম আন্দোলন এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকেছেন। মাটির ময়না তার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০০২-এর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন
  • লটারি-বাহারে পুলিশ, আস্থা সেনায়

    নির্বাচনের যাত্রাপথ, নির্বাচনের পূর্বাপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলতে সবার আগে চোখ যায় পুলিশের দিকে। তারপর আসে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব, আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীর নাম। কিন্তু চরম ট্র্যাজেডি হচ্ছে, পুলিশ এখনো ক্ষত সারিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অভ্যন্তরীণভাবে কর্মকর্তা-সদস্য মিলিয়ে পুলিশের বিরাট একটা অংশ চায় মান-মর্যাদাসহ পেশাদার হতে। জনগণের বন্ধু হতে না পারুক, অন্তত শত্রুর কলঙ্কমুক্ত হয়ে মানুষের কাতারে আসতে। কাজে-আচরণে যদ্দূর সম্ভব আস্থায় আসতে। কিন্তু বাস্তবটা বড় করুণ। জনআকাঙ্ক্ষা, সরকারের এবং পুলিশের অভ্যন্তরীণ নানা চেষ্টা-প্রচেষ্টায়ও ফল আসছে না। পারছে না কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ঘুরে দাঁড়াতে। ৫ আগস্টের আগে-পরেও দলীয়পনা এবং আনুগত্যের বিভাজন পুলিশকে পুলিশ করেই রেখেছে। যার পরিণতিতে ভুগছে তো ভুগছেই পুলিশ বাহিনী।

    আরেকবার উঠে দাঁড়ান বেগম খালেদা জিয়া

    বাংলাদেশের রাজনীতির বিস্তৃত আকাশে কিছু নাম নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করে থাকে। সময় বদলায়, মানুষ বদলায়, ইতিহাসের ধারা বারবার ঘুরে যায়—তবু কিছু নাম মুছে যায় না। বেগম খালেদা জিয়া ঠিক এমনই একটি নাম—যা জাগায় আশা, জাগায় প্রেম-ঘৃণার ভিন্ন অনুভূতি, কিন্তু সবশেষে এক অনিবার্য বাস্তবতা এনে দেয়: বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস তাকে ছাড়া পূর্ণ হয় না। আজ তিনি প্রায় নিঃশব্দ, প্রায় নিশ্চল। রাজনৈতিক উত্তাপের মাঠ থেকে বহু দূরে, হাসপাতালের সাদা দেয়ালের ভেতর বন্দি একটি দহনশীল ইতিহাস। কিন্তু এমন মুহূর্তেই মানবিকতার গভীর আলোয় তার দিকে তাকিয়ে বলার ইচ্ছে জাগে—উঠে দাঁড়ান, বেগম জিয়া। আরেকবার। ইতিহাসের করিডোরে বেগম খালেদা জিয়ার পদচারণা ছিল উজ্জ্বল ও দীপ্তময়। তবে বেগম জিয়ার

    বাউলের কথায় উত্তাপ ও সুফিবাদ

    সাম্প্রতিককালে বাউল গানের এক পরিবেশনায় আবুল সরকারের কিছু বক্তব্য কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে তার কথাকে ‘ফাউল’, ‘উসকানিমূলক’ বা ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। অন্যদিকে আরেক অংশ বলছে, বাউল শিল্পের ঐতিহ্য, শিল্পভাবনা ও রূপক-যুক্তিমত না বুঝে সরাসরি ব্যাখ্যা দিলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। এ দুটি বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সংঘাতে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা আমাদের একই সঙ্গে কয়েকটি মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়, যেমন—বক্তব্যের স্বাধীনতা ও সীমারেখা কী? ধর্মীয় অনুভূতির মর্যাদা অনুশীলন কেমন হওয়া উচিত? আইনের শাসনের জায়গায় জনরোষ কি ন্যায্য? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—সুফি দর্শনের মানবতাবাদী ব্যাখ্যায় বাউলদের চিন্তা, কর্ম, জীবনযাপন, চেতনা ও আচরণে তার প্রতিফলনের
  • ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০১ পিএম
    বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ‘কঠিন’ গ্রুপে পড়েছে দাবি দুই দেশের কোচের। আপনিও কী এমনটি মনে করেন?

    বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ‘কঠিন’ গ্রুপে পড়েছে দাবি দুই দেশের কোচের। আপনিও কী এমনটি মনে করেন?

    • হ্যাঁ
    • না
    • মন্তব্য নেই
    +
    =
    সাবমিট
    মোট ভোটদাতাঃ ২৮২ জন
    মোট ভোটারঃ ২৮২
    ভোট দিন
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৫৬০০ নতুন সেনা মোতায়েন করল ভেনেজুয়েলা

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু

নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

মা-বাবা ও স্ত্রীর নামে কসম করলে কী হয়? জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম

৭ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি

নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

১০

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

১১

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

১২

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

১৩

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

১৪

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

১৫

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্ট

১৬

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

১৭

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

১৮

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

১৯

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

২০
ভোট হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের দিন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইদিন বৃহস্পতিবার হওয়ায় ভোটারদের সুবিধার্থে তার আগের দিন বুধবারসহ মোট
গুপ্তধনের খোঁজে প্রাচীন মন্দিরের সুড়ঙ্গে খনন, জানে না প্রশাসন
বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রায় পাঁচশত বছরের প্রাচীন শিবমন্দিরের সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের সন্ধানে অবৈধ খনন তৎপরতা শুরু হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী সংস্কারহীন ও নিরাপত্তাহীনতায় থাকা এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটির সামান্য ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট রয়েছে। প্রশাসনের
‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’
খুলনার কয়রা উপজেলার সর্ব দক্ষিণের জনপদ কপোতাক্ষ নদের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশের উপক্রম হয়। স্থানীয়রা
ডেঙ্গুতে এ বছর প্রাণ গেল ৭০ শিশুর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শীতলপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম। তার শিশুকন্যা নাদিয়া জান্নাত তাসকিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়। শুরুতে বাড়ির পাশের ওষুধের দোকান থেকে নাপা কিনে খাওয়ান। পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে সীতাকুণ্ডের বাংলাদেশ
গ্যাস লিকেজের আগুনে পুড়ল দুই পরিবারের ১১ জন
গ্যাস লিকেজের আগুনে পুড়ল দুই পরিবারের ১১ জন
ভোরে রান্নার জন্য চুলায় হাড়ি চাপিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতে যান গৃহবধূ আরনেজা বেগম। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে আগুন জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ; মুহূর্তেই পুরো রান্নাঘরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। রান্নাঘরের সেই আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঘরগুলোতেও। হঠাৎ লাগা এই আগুনে আরনেজাসহ দগ্ধ হন তার পরিবারের ঘুমন্ত সাত সদস্য। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট সড়ক এলাকার টিনশেড একটি বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ধারণা পরিবারটির সদস্যদের। অন্যদিকে, কাছাকাছি সময়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি বাসায় গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের আরেকটি ঘটনায় একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। উপজেলার পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের স্বজনরা জানান, রান্নাঘরের পাইপলাইনের লিকেজ হওয়া গ্যাস ঘরে জমে ছিল। চার্জে দেওয়া মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আগুন মুহূর্তেই পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছেন দগ্ধ গৃহবধূ আরনেজার ছয় বছর বয়সী নাতনি ইভা ও ইশা, স্বামী মো. আব্দুল জলিল মিয়া, ছেলে আসিফ সাকিব ও আসিফের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মনিরা। এ ছাড়া এ ঘটনায় প্রতিবেশী ফিরোজুল আলমেরও শরীরের ২১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন হারুনুর রশীদ বলেন, ‘জলিলের ১২ শতাংশ, আরনেজার ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অন্যদের হাত-পা দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর হাত-পা দগ্ধ হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দিয়ে গাইনি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। জলিল ও আরনেজা বেগমকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।’ দগ্ধদের হাসপাতালে নেওয়া জলিল মিয়ার জামাতা মো. আরফান মিয়া বলেন, ‘রাতে টিনশেড বাসায় পাশাপাশি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল পরিবারের সাত সদস্য। ভোরের দিকে আমার শাশুড়ি আরনেজা বেগম রান্নাঘরে রান্না করতে যান। ম্যাচ (দিয়াশলাই) জ্বালাতেই টিনশেড বাসায় বিকট শব্দ (বিস্ফোরণ) হয়। এতে সাতজনই দগ্ধ হন। আমি ও আমার স্ত্রী জনিভা আক্তার পাশের ঘরে ছিলাম। আমাদের দুই মেয়ে ইভা ও ইশা তার নানার ঘরে ছিল।’ দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নারী ও শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় দগ্ধদের কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে। তারা বলেন, আগুন লাগার পর দগ্ধদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে যায়। তাদের সহযোগিতায় দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধ আসিফ বলেন, ‘আগারগাঁও সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় আমরা ভাড়া থাকি। দেড় মাস ধরে ঘরে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বাড়িওয়ালাকে বারবার বললেও শোনেনি।’ নারায়ণগঞ্জে চার্জার বিস্ফোরণের পর ঘরে আগুন: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘরে আগুন লেগে নারী, শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকার একটি বহুতল ভবনে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন ওই বাড়ির ভাড়াটে পোশাক কর্মী মো. আলাউদ্দিন (৩৫), তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪), সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)। তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আলাউদ্দিনের শরীরের ৪০ শতাংশ, সিমলার ৩০, জরিনা বেগমের ২০ ও শিফার ১২ শতাংশ পুড়েছে বলে জানান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান। জানা গেছে, ছয়তলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে দগ্ধ চারজন ভাড়া থাকেন। ভোরে চার্জে লাগানো অবস্থায় মোবাইল ফোনের চার্জারে বিস্ফোরণের পর আগুনের সূত্রপাত হয়। দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার বলেন, ‘রান্নাঘরের গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে ছিল। মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আগুন দ্রুত পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ভোরে আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে, ঘরে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যান। একই সঙ্গে ঘরে থাকা মা ও দুই মেয়েও দগ্ধ হয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ থাকার কারণে তারা দ্রুত বের হতে পারেননি। প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।’ প্রতিবেশী শরিফ মিয়া বলেন, ‘মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণের পরপরই আগুন লেগে যায়। ঘরে সম্ভবত গ্যাস জমে ছিল, তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’ সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘কয়েকজন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা জানতে তদন্ত চলছে।’ এ প্রসঙ্গে কাঁচপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক মেরাজ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই ঘরের একটি জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ধারণা করছি, ঘরটি গ্যাসভর্তি ছিল। কোনোভাবে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণে জানালার কাচ ভেঙে যায়।’
৭ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা

৯ ঘণ্টা আগে

সামনের নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ পুনর্নির্বাচিত

৯ ঘণ্টা আগে

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

১১ ঘণ্টা আগে

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

১২ ঘণ্টা আগে
বিমান ভ্রমণের উপযুক্ত না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় বিলম্ব
বিমান ভ্রমণের উপযুক্ত না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় বিলম্ব
রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও বিমান ভ্রমণের মতো উপযুক্ত নয়। তাই উন্নত চিকিৎসায় জন্য তার লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে। মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ এ পর্যালোচনার কথা গতকাল শনিবার জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। এদিকে মেডিকেল বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের ফলে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব হবে কি না, কিংবা কবে নাগাদ হবে—সেটি এখন স্পষ্ট নয়। যদিও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, ফ্লাই করার উপযোগী হলে আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় আসতে পারে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, সে ক্ষেত্রে বুধবার তাকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে। জানা গেছে, বিএনপি যখনই চাইবে, তখনই কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবে। এদিকে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় আসার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে ঢাকায় এসে পরদিন বুধবার খালেদা জিয়াকে নিয়ে সেটি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবে। সূত্র আরও জানায়, জার্মান এভিয়েশন কোম্পানি এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ গতকাল তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অবতরণ এবং ১০ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট শিডিউল আবেদন করেছে। মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ট্রাভেল করার মতো অবস্থা হয়নি। এটা কবে হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বোর্ড আশাবাদী, উনি উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ যেতে পারবেন। তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন। মাঝেমধ্যে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেন। শুক্রবার এন্ডোস্কপি সম্পন্ন হয়েছে। প্যারামিটারগুলো কিছুটা ওপরে উঠছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাডামের বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান দুইবার করে হাসপাতালে আসছেন। তিনিও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন।’ বিএনপির তরফ থেকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, মেডিকেল বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ লন্ডনে নেওয়ার বিষয়ে সায় দিলে আমরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চাইব। যে কোনো মুহূর্তে তা সরবরাহ করতে কাতার সরকার প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা গত শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বৃহস্পতিবার তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি ঘটে। চিকিৎসকরা বলছেন, গত দুদিনে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, সেসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করেছে। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। গতকাল বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, শুক্রবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি ত্রুটির কারণে আসতে পারেনি, এটাও যেমন সত্য কথা; ওই সময়ে জরুরিভাবে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। সেজন্য উনাকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়টি কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে উনাকে (খালেদা জিয়া) কখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া যাবে অথবা নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এখন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সবসময় প্রস্তুত আছে; কিন্তু প্রস্তুত থাকলেও বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা এবং সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন থেকে আসা চিকিৎসকরা সমন্বিতভাবে বেগম জিয়ার চিকিৎসায় অংশ নিচ্ছেন। সবাই উনার ফিজিক্যাল কন্ডিশনের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। অধ্যাপক জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ছয় বছর ধরে উনাকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যে সেবা দিয়ে আসছেন, আজ হয়তো পরিস্থিতি কিছু বদলেছে। আপনারা সবাই সাক্ষী, কী অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের বিগত ছয়টি বছর পার করতে হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এবং অত্যন্ত প্রফেশনালি বিষয়টি হ্যান্ডলিং করেছেন। খালেদা জিয়া যখনই শারীরিকভাবে সক্ষম হবেন, তখনই ফ্লাই করবেন জানিয়ে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। যখনই উনাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড যথোপযুক্তভাবে তৈরি মনে করবেন, শারীরিকভাবে মনে হবে যে উনাকে সেফলি ট্রান্সফার করা যাবে, তখন তিনি যাবেন। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন হাই অল্টিচুডে মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, সেটির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না—এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হয়। আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে কাতার সরকার এবং আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে এবং তারা উনাকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো কোনো সময় বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গুজব শোনা যায়, অনেকে দিচ্ছে। আমি সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, ম্যাডামের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ আপনারা দয়া করে যে ফ্যাক্ট, এটার বাইরে কেউ গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। এবারও খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এর চেয়েও প্রতিকূল অবস্থা থেকে আল্লাহ তায়ালা উনাকে সুস্থ করেছেন আপনাদের সবার দোয়ায়। আপনারা শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন, তিনি যেন এবারও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। আমরাও মেডিকেল বোর্ড অত্যন্ত আশাবাদী, এবারও উনার যে শারীরিক জটিলতা, তা থেকে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সুস্থ হবেন। গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। গত রোববার ভোরের দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। এ চিকিৎসকরা গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। সে হিসেবে গত শুক্রবার তাকে বিদেশে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে বিএনপি জানায়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ফ্লাই করার মতো ফিট না হওয়ায় তাকে লন্ডনে নেওয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভোট হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি
ভোট হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি
ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি
নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক
নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক
খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়
খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়
সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার
সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার
২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর
২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা

মৌসুমের শুরুতেই বাজারে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও পেঁয়াজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ সংকটের কারণেই পুরোনো পেঁয়াজের দাম চড়া। নতুন পেঁয়াজ কেবল আসতে শুরু করেছে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসা শুরু হলেও তা খুব অল্প পরিমাণে। পাতাসহ পেঁয়াজও কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এদিকে ভোজ্যতেলের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারি অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৯ টাকা বৃদ্ধি করেছেন। ৫ লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়েছেন ৪৩ টাকা এবং ২ লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়েছেন ১৮ টাকা। এ বৃদ্ধি ক্রেতাদের জন্য বাজারে আরও চাপ তৈরি করছে। এ পরিস্থিতির কারণে দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে।

দাম বাড়ছে লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মধ্যে সামনে জাতীয় নির্বাচন। সাধারণত নির্বাচনের আগে ও পরে পুঁজিবাজার চাঙ্গাভাব থাকে। তবে আর্থিক খাতে লুটের ভয়াবহ চিত্রের কারণে সতর্ক সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এতে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১৪২ পয়েন্ট। পুঁজিবাজারের টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে দুর্বল কোম্পানির দৌরাত্ম্য বাড়ছে। বন্ধ কোম্পানি থেকে শুরু করে লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদর হুহু করে বাড়ছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৪১ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ ছাড়া গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৪৫টি কোম্পানির। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৫টির। আর ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী কালবেলাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় আর্থিক খাতে দুর্নীতি ও ব্যাংক লুটের কারণে ৫ ব্যাংক ও ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্যানিক তৈরি হয়েছে, যার কারণে বিনিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন অনেকে। এ ছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন। তারা নির্বাচনের বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে। যার কারণে ব্যাংকের সুদহার অপরিবর্তিত থাকার পরও পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আসছে না বলেও জানান তিনি। বাজার বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি জিলবাংলা সুগার মিল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ দশমিক ৩২ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণে ডিএসইর পক্ষ থেকে চিঠি দিলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, শেয়ারের দর বাড়ার কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫-২৬ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জিলবাংলা সুগার মিলসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৭ টাকা ৯১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১৯ টাকা ৯৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৭ টাকা ১০ পয়সায়। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে জিলবাংলা সুগার মিলসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৮ টাকা ৮৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭৪ টাকা ৩৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯ টাকা ১৯ পয়সায়। টালমাটাল পুঁজিবাজারে লোকসানি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম হুহু করে বাড়ছে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিডি থাইফুডের শেয়ার দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়ে চলেছে। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারদর বাড়া শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে পাঁটিই জেড ক্যাটাগরির বা দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০ দশমিক ৬০ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দর বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অথচ কোম্পানিটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। দর বাড়ার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড। এ ছাড়া তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ, কেটিএলের ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, কেপিপিএলের ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, শেপার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ, ডিবিএইচ আইএসটি মিউচুয়াল ফান্ডের ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং তাল্লু স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া দরপতনের তালিকা বড় হওয়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ৭ ডিসেম্বর (রোববার) থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে বলা হয়েছে, ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগে
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

স্বর্ণ কিনবেন, জেনে নিন আজকের বাজারদর

দেশের বাজারে আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা বিক্রি হবে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে সবশেষ গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২ ডিসেম্বর থেকে। এদিকে দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
২১ ঘণ্টা আগে
স্বর্ণ কিনবেন, জেনে নিন আজকের বাজারদর

সিরিয়ার জ্বালানি খাতকে সুযোগ হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা

সিরিয়ার জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়তে থাকায় নতুন করে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সিরিয়ার অর্থনীতি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা আল-কাদি জানান, মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপস ও শেভরন ইতোমধ্যে তেল-গ্যাস খাতে কাজ শুরু করেছে। এর প্রভাবে ব্রিটিশ এনার্জি জায়ান্ট শেলসহ ইউরোপের আরও প্রতিষ্ঠানও মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে অংশীদার হয়ে সিরিয়ায় বিনিয়োগে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আল-কাদি বলেন, নবগঠিত ব্রিটিশ-সিরীয় বিজনেস কাউন্সিল ব্যাংক লেনদেনের সুযোগ তৈরি করেছে, যা আমদানি-রপ্তানি সহজ করবে এবং ব্যাংক খাতকে গতিশীল করবে। তিনি জানান, কনোকোফিলিপস খুব শিগগিরই কারিগরি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে, আর নতুন বছরের শুরুতেই পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু হতে পারে। মার্কিন কোম্পানির এসব চুক্তি ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের কাছে দিচ্ছে যে ২০১৯ সালের সিজার অ্যাক্ট নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা তুলে নেওয়ার পথ খুলতে পারে। এতে জার্মানি ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের আরও প্রতিষ্ঠান সিরিয়ায় প্রবেশে আগ্রহী হতে পারে। গত মে মাসে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেবে। তবে সিজার অ্যাক্ট বাতিল করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যা বছরের শেষ নাগাদ হতে পারে। আল-কাদি দাবি করেন, লাতাকিয়া ও তর্তুস বন্দর এখন আন্তর্জাতিক কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ড ও কিছু ফরাসি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় চলছে, যা আরব দেশগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত সমঝোতার অংশ। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, সিরিয়ার সামনে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো, পরিবহন ও ব্যাংকিং খাত আধুনিকায়ন এবং আইনি কাঠামো সংস্কার। এসব সমস্যা সমাধানে নতুন আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। সূত্র : শাফাক নিউজ
২৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার জ্বালানি খাতকে সুযোগ হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা
কপির বাম্পার ফলন  কৃষকের মুখে হাসি
কপির বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি
বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ সামগ্রীর মিশ্রণ তৈরি, স্বাস্থ্যঝুঁকি
বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ সামগ্রীর মিশ্রণ তৈরি, স্বাস্থ্যঝুঁকি
‘জাহাজ নোঙর করতে পারিনি, আমাদের জীবন এখন ঝুঁকিতে’
‘জাহাজ নোঙর করতে পারিনি, আমাদের জীবন এখন ঝুঁকিতে’
বিদ্যালয়ের সামনে জলাশয় ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
বিদ্যালয়ের সামনে জলাশয় ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন
নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন
মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ
মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল
ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল
ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
.

৫৬০০ নতুন সেনা মোতায়েন করল ভেনেজুয়েলা

ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি সামরিক উপস্থিতির জেরে নতুন ৫ হাজার ৬০০ সেনা মোতায়েন করেছে ভেনেজুয়েলা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) করাকাসে এক অনুষ্ঠানে এ মোতায়েনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি সামরিক নিয়োগ আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশকে সাম্রাজ্যবাদী হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে।  সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ সৈন্য এবং সমানসংখ্যক পুলিশ সদস্য রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র অপারেশন সাদার্ন স্পিয়ার নামে কারিবীয় অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক শক্তি গড়ে তুলেছে। এতে রয়েছে ১৫ হাজার মার্কিন সেনা, ডজনখানেক যুদ্ধজাহাজ এবং বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড। সাম্প্রতিক অভিযানে সন্দেহভাজন মাদক পাচার-সংক্রান্ত নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়, যাতে ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। দেশটির ভেতরে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দেন ট্রাম্প। এ পদক্ষেপের আগে ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়, যেটিকে মাদুরো বন্ধুসুলভ কিন্তু হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন। ফোনালাপে ট্রাম্প মাদুরোকে ক্ষমতা ছাড়ার আলটিমেটাম দেন। সূত্র : শাফাক নিউজ  
গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু
গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত
নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি
নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি
চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্য, ৩ দিনেই ক্যানসার থেকে সুস্থ হলেন নারী
চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্য, ৩ দিনেই ক্যানসার থেকে সুস্থ হলেন নারী
চায়ের দোকানে বিমান হামলা, নিহত ১৮
চায়ের দোকানে বিমান হামলা, নিহত ১৮
ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যাপক ধরপাকড়
ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যাপক ধরপাকড়
বাবা হওয়ার পর মেহরাবের নতুন গানের ঘোষণা
বাবা হওয়ার পর মেহরাবের নতুন গানের ঘোষণা
যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মৃত্যু
যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মৃত্যু
ভালোবাসার এক বছর 
ভালোবাসার এক বছর 
অপু-সজলের ‘দুর্বার’
অপু-সজলের ‘দুর্বার’
দেখি এই জার্নি আমাকে কোথায় নিয়ে যায়: সানি
দেখি এই জার্নি আমাকে কোথায় নিয়ে যায়: সানি
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ঝরা পাতার চিঠি’
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ঝরা পাতার চিঠি’
শুরু হচ্ছে চতুর্থ সিজন
শুরু হচ্ছে চতুর্থ সিজন
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
বুসকেটস–আলবার বিদায়ক্ষণে মেসির ‘আরেক ফিনালিসিমা’
বুসকেটস–আলবার বিদায়ক্ষণে মেসির ‘আরেক ফিনালিসিমা’
বিশ্বকাপ ড্র ঘিরে আলোচনায় বাবা ভাঙার ‘উদ্বেগজনক’ ভবিষ্যদ্বাণী
বিশ্বকাপ ড্র ঘিরে আলোচনায় বাবা ভাঙার ‘উদ্বেগজনক’ ভবিষ্যদ্বাণী
কুলদীপ–প্রসিধের চার উইকেট, জয়সওয়ালের শতকে সিরিজ ভারতের
কুলদীপ–প্রসিধের চার উইকেট, জয়সওয়ালের শতকে সিরিজ ভারতের
কুলদীপ যাদব ও প্রসিধ কৃষ্ণার বিধ্বংসী চার উইকেট, তার সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়ালের অনবদ্য সেঞ্চুরি—সব মিলিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল ভারত। টস জিতে প্রথমবারের মতো বোলিং বেছে নেওয়া ভারত শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যাচের। কুইন্টন ডি ককের দৃষ্টিনন্দন শতক (১০৬) সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৭.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ২৭০ রানে। জবাবে ভারত মাত্র ৩৯.৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ভারতের বোলিংয়ে কুলদীপ যাদব ছিলেন সবচেয়ে কার্যকর—৪১ রানে নেন ৪ উইকেট। সমান চার উইকেট পান প্রসিধ কৃষ্ণা (৪/৬৬), যিনি মাঝের ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ডি কক ও টেম্বা বাভুমা দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়লেও, বাভুমার বিদায়ের পর দ্রুত ধসে পড়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস। শেষ দিকে সামান্য প্রতিরোধ এলেও ২৮০-এর আগে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়ায় শুরুটা ছিল সতর্ক। রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়াল ধীরে ইনিংস গড়েন। এরপর অভিজ্ঞতা ও আক্রমণের নিখুঁত মিশেলে রোহিত গতি বাড়ান। ৫৪ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে একের পর এক বাউন্ডারিতে চাপ সরিয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রোহিত থামেন ৭৫ রানে। জয়সওয়াল প্রথমদিকে কিছুটা অস্বস্তিতে থাকলেও ধীরে ধীরে থিতু হন। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইনিংসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন বাঁহাতি ওপেনার। রোহিত বিদায়ের পর বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন তিনি। ১২১ বলে অপরাজিত ১১৬ রান করে নিজের প্রথম ওয়ানডে শতক তুলে নেন জয়সওয়াল—তিন ফরম্যাটেই শতক করা ষষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখান। অন্যপ্রান্তে কোহলি ছিলেন যথারীতি নির্ভরযোগ্য। ঝুঁকিহীন ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ৬৫ রান করে দলকে জয়রেখা পার করান তিনি। ভারতীয় ইনিংসে তিন ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের আর কোনো সুযোগই মেলেনি। এই জয়ের মাধ্যমে ভারতের সিরিজ জয় নিশ্চিত হলো, আর ঘরের মাঠে দলটির প্রভাবশালী পারফরম্যান্স আবারও প্রমাণ করল—সাদা বলের ক্রিকেটে তারা এখনো আলাদা মানদণ্ড। সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭০ (৪৭.৫ ওভার): কুইন্টন ডি কক ১০৬, টেম্বা বাভুমা ৪৮; কুলদীপ যাদব ৪/৪১, প্রসিধ কৃষ্ণা ৪/৬৬। ভারত ২৭১/১ (৩৯.৫ ওভার): যশস্বী জয়সওয়াল ১১৬*, রোহিত শর্মা ৭৫, বিরাট কোহলি ৬৫*। ভারত জয়ী ৯ উইকেটে।
ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে
ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে
কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?
কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?
ইভেন্ট
লা লিগা
লা লিগা
ইপিএল
ইপিএল
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
উইম্বলডন
উইম্বলডন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
বুন্দেসলিগা
বুন্দেসলিগা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউএস ওপেন
ইউএস ওপেন
X