

ফের টানা দরপতনে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেন কমার পাশাপাশি সূচকের বড় পতন হয়েছে। এদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শুরুতে সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু লেনদেনের সময় ২০ মিনিট গড়ানোর আগেই দাম কামার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর ভালো-মন্দ সব ধরনের কোম্পানির শেয়ারের ঢালাও দরপতন হতে থাকে। পতনের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের সঙ্গে মূল্যসূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। দাম কমেছে ২৬০টির। আর ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। ভালো কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৫০টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। মাঝারি মানের ২০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৫২টির দাম কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮৬ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে নামে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৪ কোটি ১৮ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬১ কোটি ৫৫ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাজিং।
এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রবি, সিটি ব্যাংক, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ব্র্যাক ব্যাংক।
মন্তব্য করুন