জাকির হোসেন লিটন
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গণভোট হবে সংসদ নির্বাচনের দিন

সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার
গণভোট হবে সংসদ নির্বাচনের দিন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যাপারে ঐকমত্য হলেও এই ভোটের সময় নিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। কোনো কোনো দল জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিন আয়োজনের পক্ষে। আবার কোনো কোনো দল জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই ভোট আয়োজনের পক্ষে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী এমন অবস্থানে বিশেষজ্ঞ মতামত অনুযায়ী গণভোটের সময় নির্ধারণে সরকারের ওপর ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এমন প্রেক্ষাপটে আর্থিক এবং প্রস্তুতির কথা বিবেচনায় নিয়ে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করা হবে। সরকারের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এমন আভাস দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণভোট একটি জাতীয় বিষয়। এ ভোট আয়োজনে খরচও অনেক। এ ছাড়া এ ভোটের প্রশ্ন এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের পুরো মনোযোগ ও প্রস্তুতি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরেই। তার আগে জাতীয় নির্বাচনের মতো আরেকটি ভোট আয়োজন করতে গেলে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনও ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া একই দিনে ভোট হলে দুটি পৃথক নির্বাচনের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা এড়ানো সম্ভব হবে। সেজন্য ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব করা ক্ষমতাবলে একই দিনে জাতীয় ও গণভোটের আয়োজন করতে চায় সরকার। সেজন্য প্রস্তাবনাও তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্ত জানানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে পরামর্শ দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

সূত্র আরও জানায়, একই দিনে গণভোট করার ব্যাপারে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত পেয়েছে সরকার। নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং খরচের বিষয়টি মাথায় রেখেই সরকারকে এমন সংকেত দিয়েছে কমিশন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনাটি একদিকে যেমন সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের সুযোগ দেবে, তেমনি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর বিপুল চাপ তৈরি করবে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে তার সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং দুটি ভোট আয়োজন সম্পর্কে ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। সামগ্রিকভাবে এই দ্বৈত ভোট আয়োজন সরকারের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হতে পারে, যার সফল বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও জনগণের পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি হয়েছে, তাতে সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কারের একাধিক প্রস্তাব রয়েছে। এই প্রস্তাবগুলো কার্যকর করার আগে জনগণের সরাসরি মতামত নেওয়ার জন্য গণভোটের আয়োজন করা অপরিহার্য বলে মনে করা হচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, গণভোটের মূল প্রশ্নটি হবে জুলাই সনদ গ্রহণ করা বা না করার বিষয়ে, যার উত্তর জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এর মাধ্যমে দেবে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে অন্যতম আলোচিত এই গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে নাকি তার আগেই করা হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি রয়েছে।

বিএনপিসহ বেশ কটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের পক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই ভোট আয়োজনের ব্যাপারে অনড়। গত বুধবার দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ সম্মিলিত বৈঠকেও এ বিষয়ে সুরাহা না হওয়ায় বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করতে সরকারের ওপর ক্ষমতা অর্পণ করার কথা জানায় ঐকমত্য কমিশন। এর পরও অনানুষ্ঠানিকভাবে দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত রাখে কমিশন।

কমিশনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরে বিকেলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাজিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দলের নেতারাই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের পক্ষে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। বৈঠকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, গণভোটের বিষয়ে দলের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনক্ষণ নিয়ে নতুন কোনো ভাবনা তাদের নেই।

অন্যদিকে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাজিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে জুলাই সনদ গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচনের আগেই গণভোট হওয়া উচিত।

সূত্র আরও জানায়, দুই দলের সঙ্গে বৈঠকের পর ওই দিন সন্ধ্যায়ই প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সেখানে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট আয়োজনের সময়সূচি নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে দলগুলোর বিভক্তির মধ্যেই সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র জানায়, জুলাই সনদ নিয়ে ঐক্য হয়েই আছে। সেজন্য এ সনদ স্বাক্ষরের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। রোম সফর শেষে দেশে ফিরলে আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে কমিশনের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে। আর শুক্রবার বিকেলেই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে কমিশনের পক্ষ থেকে ১৫ অক্টোবর বিকেলে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রাথমিক তারিখ ঘোষণা করা হলেও গণভোট নিয়ে দলগুলোর বিভক্তি ও প্রধান উপদেষ্টার রোম সফরের কারণে তা পরিবর্তন করা হয়। যদিও রাজনৈতিক দল ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার বন্ধের দিনে সনদ স্বাক্ষরের দিন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এর পরই গণভোটের দিনক্ষণের কথা পরিষ্কার করবে সরকার।

এদিকে নির্বাচন কমিশনও বাড়তি ঝামেলা ও অর্থের অপচয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে একই দিনে গণভোটের ব্যাপারে আগ্রহী। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আগে থেকেই ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন। এ অবস্থায় সরকার যদি একই দিন গণভোটের সিদ্ধান্ত নেয়, নতুন করে সেটি আয়োজনের প্রস্তুতিও শুরু করতে হবে তাদের। তবে এক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হবে না।

তারা বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে ইসি। ১২ কোটি ৬৩ লাখের বেশি ভোটারের এ সংসদ নির্বাচনে থাকবে ৪০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র। সেখানে ভোটকক্ষ থাকবে আড়াই লক্ষাধিক। প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নেওয়ার আয়োজন হচ্ছে। সেখানেও ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। পুরো নির্বাচনে ১০ লাখের বেশি লোকবল নিয়োজিত থাকবে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজন করলে আগের এ ব্যয় বরাদ্দের সঙ্গে কিছুটা যোগ করলেই হবে। কিছু ভোটকক্ষ বৃদ্ধি করলেই চলবে। এতে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু আলাদা দিনে দুই ভোট করতে হলে আলাদা বাজেটে অনেক বেশি খরচ হবে। যা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।

এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, গণভোটের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় ও সরকারের ব্যাপার। সরকার যদি মনে করে, গণভোট করবে, তাহলে আমরা গণভোট করতে পারব। তবে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে গণভোট হলে বড় ব্যয় সাশ্রয় হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এত ব্যয়বহুল কাজ দুদিনে করাটা কঠিন হবে। কাজেই সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদের কোনো বিষয় নয়। দুই নির্বাচন একত্রে করলে অনেক টাকা বেঁচে যায়। ফেব্রুয়ারিতে দুই নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। সেটাই ভালো হবে।

গণভোটের দিনক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার কালবেলাকে বলেন, আমাদের নানা চেষ্টার পরও দলগুলো ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে একমত হতে পারেনি। সেজন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য সরকারের ওপরই ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে। এখন সরকার প্রস্তুতি, সময় ও আর্থিক বিষয়সহ নানা বিষয় আমলে নিয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমার বিশ্বাস। আর শেষ পর্যন্ত বৃহৎ স্বার্থের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক দলগুলোও তা মেনে নেবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আরেক সদস্য ড. আবদুল আলীম বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হয়। সে জন্য ভোটের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত হলে ইসির জন্য এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে না। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনটি ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা মানুষের রয়েছে। ফলে এবার সংসদ নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে হলে ভোটারদের বোঝাতে সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান, অর্থাৎ বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোটের বিধান ছিল না। ১৯৭৯ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোটের বিধান যুক্ত করেন। যদিও আওয়ামী লীগ আমলে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে গণভোটের বিধান বাতিল করে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ পতনের পর পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার পরে আদালত পুনরায় গণভোটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে আনেন। এ পর্যন্ত দেশে মোট তিনটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ, একশও ছুঁতে পারল না মিরাজরা

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

মেসি নন, নতুনদের নিয়েই পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি আর্জেন্টিনা

১০

বিএনপি কোনো দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় না : কফিল উদ্দিন 

১১

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

১২

পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে : পরওয়ার

১৩

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : লায়ন ফারুক

১৪

ভারতের হারে এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

১৫

সাবেক স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

১৬

পর্তুগালসহ যেসব দল আজ নিশ্চিত করতে পারে বিশ্বকাপের টিকিট!

১৭

এক দিনের ব্যবধানে দেশে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

১৮

সুস্থ থাকতে খেলাধুলার বিকল্প নেই : মেয়র ডা. শাহাদাত

১৯

ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ায় প্রতিবন্ধীর প্রতিবাদ

২০
X