মেজর (অব.) ড. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জাগিয়ে দেওয়া জুলাই এবং ইতিহাসের শিক্ষা

জাগিয়ে দেওয়া জুলাই এবং ইতিহাসের শিক্ষা

পৃথিবীর বুকে বহু ঘটন-অঘটনের সাক্ষী হয়ে আছে জুলাই মাস।রোমান ক্যালেন্ডারে প্রথম দিকে এই জুলাই মাসের নাম ছিল কুউন্টিলিস (Quintilis)। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ সনের ১২, মতান্তরে ১৩ জুলাই রোমান বীর জুলিয়াস সিজারের জন্ম হয়। তার জন্মের মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে জুলাই মাসটির নামকরণ করা হয়েছিল। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।অন্যদিকে ১৪ জুলাই ১৭৭৯ সালে ফ্রান্সের প্যারিস শহরের বিপ্লবীরা বাস্তিল দুর্গ ও কারাগার দখল করে ফরাসি বিপ্লবের মোর ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই কানাডার কনফেডারেশন বা একীভূত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই অ্যাপোলো ১১ চাঁদের বুক অবতরণ করে। এই দিনে চাঁদের বুকে মানুষের ছোট পদচিহ্ন মানবজাতির বড় অগ্রযাত্রার সূচনা করেছিল। ২৮ জুলাই ১৯১৪ শুরু হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে জার্মান সেনাদের সদর দপ্তরে অবস্থিত হিটলারের অফিস কক্ষে বিস্ফোরকভর্তি একটি ব্রিফকেসে বিস্ফোরণ ঘটায় তারই অফিসের কর্নেল ক্লজ ভন। অল্পের জন্য বেঁচে যান হিটলার। এ ধরনের আরও বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে জুলাই, যার প্রতিটি থেকে আমাদের শেখার মতো অনেক কিছুই আছে। কিন্তু ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নিতে চায় না। এজন্যই জুলাই বিপ্লবের মতো ঘটনাগুলো বারবার ঘটতে থাকে, যেমনটা ঘটেছে বাংলাদেশেও।

বাংলাদেশে জুলাই ২০২৪ ছিল ভিন্ন ধরনের। পরপর তিনটি সাজানো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা প্রায় ১৬ বছর দেশ শাসনের নামে এক আজব হুকুমত কায়েম করেছিল শেখ হাসিনার অধীন আওয়ামী লীগ।২০৪১ সাল পর্যন্ত টানা শাসনের মধ্যেই বিরোধী মতাবলম্বীদের নিধন এবং শেখ পরিবারের নতুন কাউকে ক্ষমতায় বসানোর আয়োজন চূড়ান্ত করা ছিল। কিন্তু ক্ষমতার দম্ভে প্রায় অন্ধ আওয়ামী সরকার ধারণাও করতে পারেনি যে, কোনো এক জুলাইয়ে বন্যার পানির মতো জনতা ঢাকায় ঢুকবে। আর জীবনের মায়া তুচ্ছ করে দখল করবে গণভবন নামের ক্ষমতার মসনদ। বাস্তবে হয়েছে তাই।

দীর্ঘদিন দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। তবুও আদিকালের নমরুদ কিংবা ফেরাউন, মধ্যযুগের হিটলার কিংবা মুসোলিনি এবং আধুনিককালের সাদ্দাম কিংবা গাদ্দাফির পতনের কথা স্মরণ করে অনেকেই বলেছিলেন, ক্ষমতার চেয়ার নতুন মানুষ খোঁজে। তাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চেয়ার খালি না হলে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তা খালি হতে বাধ্য। বাস্তবে সেটাই ঘটেছে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে। প্রথম দিকে কয়েক ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল জুলাইয়ের দিনগুলো। কিন্তু ক্ষমতার দম্ভ, অর্বাচীন নেতাদের বেসামাল বক্তব্য আর তেলবাজ আমলা ও মিডিয়া মাফিয়াদের অনৈতিক আচরণ সমাজের প্রতিটি কোনায় আঘাত হানে। আগুনে ঘি ঢালে পুলিশি নির্যাতন। ফলে প্রাণের তাগিদে রাস্তায় নেমে আসে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। বহু প্রাণের বিনিময়ে আর অঙ্গহানির প্রতিদানে অবশেষে জুলাই পেরিয়ে আগস্ট আসে। সেই সঙ্গে আসে নতুন দিন, নতুন সরকার, নতুন প্রশাসন ও বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন।

যে কোনো সফল বিপ্লবের পর বিপ্লবী সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ এক চিরচেনা দৃশ্য। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা জুলাইয়ের চিত্রনাট্যটা যেন ভিন্নভাবে লিখে রেখেছিলেন। ফলে কারাগারে এক পা দিয়ে রাখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছাত্র-জনতার অনুরোধে রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। তার ডাকে এগিয়ে এলেন দেশবরেণ্য শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদী, সফল ব্যবসায়ী, এনজিও পরিচালক, ধর্মগুরু প্রমুখ। বাংলাদেশের ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এমন মেধাবী ও সৎ প্রশাসন অতীতে কখনো দেখা যায়নি। এর ফলে মানুষের প্রত্যাশার পারদ হয়ে পড়ে আকাশচুম্বী।

বছর পেরোতেই সেই প্রত্যাশায় যেন ছেদ পড়েছে, যা রাজনীতির ইতিহাসে এক নতুন সংযোজন। গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছিল বিধায় দেশের সর্বত্র গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে— এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। বাস্তবে দেখা গেল, কোনো দলই নিজ দলে গণতন্ত্র চর্চার জন্য কোনো সংস্কার আনলেন না। যাত্রা পার্টি নামে কুখ্যাত জাতীয় পার্টির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দলে গণতন্ত্রহীনতার এক নির্লজ্জ উদাহরণ। আরও দেখা গেল কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে এক বছরের মধ্যেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলো না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে নতুন নির্বাচন কমিশন বড় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কোনো সুযোগ গ্রহণ করল না। দেশের প্রচলিত সংবিধান, রাষ্ট্র পরিচালনার রীতিনীতি, আইন ও বিচারব্যবস্থায় জবাবদিহি নিশ্চিতের পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনকে নাকানি-চুবানি খেতে হচ্ছে সাত ঘাটের জল খাওয়া রাজনীতিবিদদের একমঞ্চে বসাতে। দেশ যদি সেই পুরোনো পদ্ধতিতেই এক ব্যক্তির হাতে দল, সংসদ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতা তুলে দেয়, তবে তার কুপ্রভাব যে কীভাবে দেশকে ধ্বংস করবে, তার কিছু লক্ষণ এরই মধ্যে ফুটে উঠতে শুরু করেছে।

‘রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই’—এমন কথা গত ১৬-১৭ বছরে বহুবার উচ্চারিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি গত এক বছরে। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাঁদাবাজি, দখল ও তথাকথিত মব জাস্টিস প্রমাণ করছে যে, মাঠের রাজনীতি এখন আর কোনো নেতার হাতে নেই। প্রান্তিক পর্যায়ে করোনার মতো ছড়িয়ে পড়েছে রাজনীতির নামে অনাচার। দুঃখের সঙ্গে মানুষ বলছে, ‘আগে ছিল মগের মুল্লুক আর এখন চলছে মবের মুল্লুক।’ ভুলে গেলে চলবে না যে, ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে যাচ্ছে এমন প্রতিটি ঘটনা, যা ভবিষ্যতে আমাদের অবশ্যই দায়ী করবে।

‘আগামীতে আমরাই ক্ষমতায় বসব’—এমন বদ্ধমূল ধারণা থেকে কেউ যদি সংস্কারের নামে আবারও ক্ষমতার পথ খোঁজেন, তবে তা হবে জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সাক্ষাৎ বেইমানি ও ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার আরেক উদাহরণ। বরং আমি বিরোধী দলে থাকলেও রাষ্ট্র ও সংবিধান কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে এবং এ সমাজ কীভাবে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখবে সেটাই হতে হবে সংস্কারের মূল কথা। ছোট বা মাঝারি দলগুলো কোনো লেজুড়বৃত্তির বদলে যেন নিজ আদর্শ নিয়ে টিকে থাকে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। অনেকেই এজন্য দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিকভাবে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের প্রস্তাব করেছেন। উচ্চারিত হয়েছে সংসদে যারা আসবেন কিংবা আসবেন না তাদের সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের কথাও। সবার উদ্দেশ্যই যদি মহৎ হয়ে থাকে, তাহলে নির্বাচন নিয়ে এত সংশয় আর এত অনিশ্চয়তার কথা বারবার উচ্চারিত হওয়ার যুক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই নিজ নিজ দলের শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে নিজস্ব ভাবনার বলয় গড়ে নির্ভর হতে চান। কিন্তু যখনই নিজস্ব ভাবনায় আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক কিংবা অন্ধ নৌকা সমর্থকদের এলাকায় ভোটের সমীকরণের কথা ভেসে ওঠে, তখনই যেন কপালে ভাঁজ পড়ে রাজনীতির অশ্বারোহীদের। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে ও পরে নিজ কর্মগুণে অন্যের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি এমন দুশ্চিন্তা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি বিশেষত ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিভিন্ন দলের জনপ্রিয়তা হ্রাস বৃদ্ধির প্রবণতা নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের আভাস দিচ্ছে। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর একীভূত হওয়ার প্রচেষ্টাও রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ৯১ সালের নির্বাচন আমাদের এমন শিক্ষাই দিয়েছিল।

রাজনৈতিক মঞ্চের নতুন শক্তি হতে পারে তরুণ সমাজ। আমাদের প্রায় তিন কোটি তরুণ এবার প্রথমবারের মতো ভোট দিতে চলেছেন। তবে আশঙ্কার কথা হলো, এ তরুণদের প্রায় ৮৩ শতাংশ রাজনীতিতে আগ্রহী নয় (সূত্র: সাউথ এশিয়ান ওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং)। এ তরুণদের অধিকাংশই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিগত দিনে ভোট দিতে পারেননি। তাদের সামনে ভোটের সময় যে দলগুলো থাকবে, তাদের শাসন এবং অতীতের কার্যকলাপ এ তরুণ ভোটাররা প্রত্যক্ষ করেনি। তবে তারা অপার বিস্ময় দেখছে মাঠপর্যায়ের রাজনৈতিক কার্যক্রম। বিশেষত এত বহিষ্কার ও দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের পরও বেপরোয়া চাঁদাবাজি তরুণদের নতুন কিছু ভাবতে শেখাবে। তারা এখন বিশ্ব নাগরিক। বিপ্লবের পর আলজেরিয়া ও সিরিয়াসহ বহু দেশের দুরবস্থা তাদের জানা। স্বৈরাচার হিসেবে অভিযুক্ত সাদ্দাম কিংবা গাদ্দাফির পতনের পর ইরাক ও লিবিয়ার দৃশ্যপট তারা নিমিষেই মোবাইল ফোনে দেখতে পায়। খালেদা জিয়ার নকল কণ্ঠ টেলিফোনে শুনেই বাটপারের অ্যাকাউন্টে ২৬ কোটি টাকা দেওয়ার মতো ব্যবসায়ী এ দেশে থাকবে, এমনটা তরুণ সমাজ গ্রহণ করতে নারাজ। এসব অনাচার বন্ধের মতো কর্মকৌশল বা আদর্শ তরুণদের সামনে উপস্থাপন করতে না পারলে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য ফিকে হয়ে যাবে।

পরিতাপের বিষয়, জুলাই বিপ্লবের তরুণ নেতৃত্বও আজ বহু ভাগে বিভক্ত। আগের মতো এক ডাকে লক্ষ্য তরুণের বুক পেতে দাঁড়ানোর মতো ঐক্য, চেতনা কিংবা রক্তে আগুন আর নেই। তাই রাজনৈতিক দলগুলো এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে এবং মাঠের পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে এ তরুণরা আবার ঐক্যবদ্ধ হবে এবং রাজপথে দাঁড়াবে এমনটাই ধারণা সচেতনমহলের। ৮৩ শতাংশ তরুণ রাজনীতি পছন্দ করে না, এটাই তরুণদের একটি বড় শক্তি। তারা রাজনীতির জন্য নয়, দেশ ও জনগণের জন্যই মাঠে নামতে প্রস্তুত। তাই সময় থাকতে এ তরুণদের কথা ভাবতে হবে এবং তাদের জন্য সংস্কার করে একটি সুন্দর রাজনৈতিক কাঠামো ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগকে কিছুতেই হাতছাড়া করা যাবে না।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত মেজর এবং গবেষক

বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

ইমেইল: [email protected]

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাক ডাকার সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন সমাধান

বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু

বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা, যা বললেন নেহা

১২ শিক্ষকের সেই স্কুলে এবারও সবাই ফেল

দ্বিতীয় দিনের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শেষ

এসএসসিতে আমিরাতের ২ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৭২ শতাংশ

এক দেশে ৩৫%, অন্যদের ২০% শুল্কের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন

গাজায় বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সেনা নিহত, উত্তেজনা চরমে

প্রথম প্রেম ভুলতে পারেননি আনুশকা

১০

রাবিপ্রবিতে প্রথমবার ছাত্রদলের কমিটি

১১

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় রংপুরের জয়

১২

প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলেই ৭ পরিবর্তন আসবে আপনার

১৩

কক্সবাজারে এসএসসিতে ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৪

নদীতে সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর রোমহর্ষক বর্ণনা

১৫

যমজ দুই ভাইয়ের আশ্চর্যজনক ফলাফল

১৬

ছবিতে প্রথমে কী দেখতে পাচ্ছেন, উত্তরই বলে দেবে আপনি আসলে কেমন

১৭

৮ শিক্ষকের স্কুলে ৯ পরীক্ষার্থী, অথচ সবাই ফেল

১৮

চলন্ত বাইক থেকে ফেলা হলো ছাত্রলীগ নেতাকে, এরপর যা ঘটল

১৯

ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

২০
X