সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি দেখা দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকাংশে কমে গেছে। ফাঁকা হয়ে গেছে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত গড়ে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ১ হাজার ৪৯৩। কিন্তু ভোট পড়েছে ১৩৫টি। এখনো তেমন কোনো ভোটার উপস্থিতি নেই।
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই মহিলা কেন্দ্রে ১১টা পর্যন্ত ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং পুরুষ কেন্দ্রে ৯ শতাংশ ভোট পড়ছে বলে দুই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮৯ ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬১টি কেন্দ্রকে 'গুরুত্বপূর্ণ' (ঝুঁকিপূর্ণ) ও ১২৮টি কেন্দ্রকে 'সাধারণ' হিসেবে চিহ্নিত করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। তালিকা অনুযায়ী প্রায় ৫৬ শতাংশ কেন্দ্রই 'ঝুঁকিপূর্ণ'।
এ সিটি করপোরেশনের ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। তাদের মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
মেয়র পদপ্রার্থী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। তারা হলেন তালুকদার আবদুল খালেক (আওয়ামী লীগ, নৌকা প্রতীক), মো. আ. আউয়াল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাতপাখা), মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পাটি, লাঙ্গল), এস এম শফিকুর রহমান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি) এবং এস এম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল)।
এ ছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য করুন