কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আমনের চারা সংকট, দুশ্চিন্তায় কৃষক 

চারার অভাবে রোপা আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
চারার অভাবে রোপা আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেতে আবার রোপা আমনের চারা রোপণের চেষ্টা করছেন কৃষকরা। কিন্তু, কোথাও চারা সংকট এবং কোথাও চারার দাম বেশি হওয়ায় তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।

উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের বন্যাদুর্গত কৃষক সালাম মিয়া বলেন, ৫ কানি জমির আমন ক্ষেত ৬ দিন পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত ছিল। প্রায় ৯০ শতাংশ আমনের চারা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন করে আমনের চারা সংগ্রহের চেষ্টা করছি। কিন্তু, এখনো কোথাও তা পাইনি। যদি আমনের চারা পাই তাহলে আবার ধান লাগাতে পারব। চারা না পেলে এ বছর জমি পতিত রাখতে হবে।

একই গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া জানান, তিন বিঘা জমি চাষাবাদ করে যে ফসল পান, তা দিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চলে। কিন্তু এবারের বন্যায় পুরো জমির রোপা আমনই নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নামার পর পুনরায় জমি তৈরি করেছেন। কিন্তু কোথাও আমনের চারা পাচ্ছেন না।

বায়েক ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর মিয়া জানান, রোপা আমন ক্ষেত নষ্ট হলেও বন্যায় সেই জমিতে পলি জমেছে। ফলে এখন ফসল আরও ভালো হবে। সেই আশায় ধারদেনা করে জমি প্রস্তুত করেছেন তিনি। কিন্তু আমনের চারা না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, এবারের বন্যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভায় চার হাজার ২০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবে, ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার ২০ হেক্টর জমিতে পুনরায় আমনের চাষ করতে ১৫০ হেক্টর জমির বীজতলা প্রয়োজন। কিন্তু বন্যায় বীজতলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরো উপজেলাতে আমনের চারার চরম অভাব দেখা দিয়েছে।

জানতে চাইলে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজেরা বেগম কালবেলাকে বলেন, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রোপা আমন মৌসুমে ধানের চারার সংকট দেখা দিয়েছে। তবে আশা করি, এটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও রিকভারি করা যাবে। কৃষকদের মাঠপর্যায়ে এ বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের চলতি আমন মৌসুমে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আমন ধানের চারা সংকটের কারণে চারার চাহিদা জোগান দেওয়ার জন্য কৃষকরা পরস্পরকে সহযোগিতা করে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে। আশা করি, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডাকসুর ভিপি-জিএস প্রার্থীদের পরিচয়

কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার ও বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৮

১১ দল নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে রিজিওনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

হঠাৎ মোবাইলের ডায়াল প্যাড বদলে যাচ্ছে কেন?

বাংলাদেশি পোশাক খাতে দুই মাসে ক্রয়াদেশ বেড়েছে ৩২ শতাংশ

গরম পানি পান করলে কি সত্যিই ওজন কমে?

অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল খান

যৌবন ধরে রাখতে সার্জারি করেছেন রোনালদো, দাবি সার্জনের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ

ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হচ্ছেন গিল!

১০

যুক্তরাষ্ট্রে ‘বেস্ট হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন মিলন

১১

ড্রাগন ফল কারা খেতে পারবেন না জানালেন পুষ্টিবিদ

১২

সুনামগঞ্জে ভুয়া এনএসআই সদস্য গ্রেপ্তার

১৩

সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানীর পদ-ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি রাশেদের

১৪

ব্যক্তিগত মিলে মজুত করা ছিল সরকারি চাল

১৫

অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ / ভারতের বিপক্ষে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

১৬

সড়কে খানাখন্দ, দুর্ভোগ লাখো মানুষের

১৭

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মানসী

১৮

কলকাতায় টানা ৩ দিন দুর্যোগের সতর্কতা

১৯

২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ : কোন দেশে কত ম্যাচ জানিয়ে দিল আইসিসি

২০
X