আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শাওনের মায়ের কান্নায় কাঁদছে গ্রামবাসী

নিহত প্রবাসী শাওন। ছবি : কালবেলা
নিহত প্রবাসী শাওন। ছবি : কালবেলা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান এলাকায় নিহত প্রবাসী শাওনের গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম। পরিবারের স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। নিহত শাওন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মো. আউয়াল মিয়ার ছোট ছেলে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তেলবাহী জাহাজের ট্যাঙ্কার পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাওনের সঙ্গে আরও দুই বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে মৃত্যুর খবর তার বড় ভাই সৌরভ পরিবারকে জানায়।

এদিকে দুর্ঘটনার নিজ সন্তানের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে শুরু হয় মাতম। নিহতের মায়ের গগনবিদারী কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে আরব আমিরাতে পাড়ি জমায় শাওন। নিহত শাওন ও তার বড় ভাই সৌরভ একই কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। এরই মধ্যে শাওন দেশে এসে দুই মাস আগে ১ মাস ১০ দিন ছুটি কাটিয়ে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।

নিহত শাওনের বাবা মো. আওয়াল মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে শাওন দুই বছর আগে চাকরি নিয়ে আরব আমিরাতের আজমানে যায়। দুই বছর পর কিছুদিন আগে ১ মাস ১০ দিনের ছুটিতে দেশে আসেন। ফের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ায় আজ ২ মাস হলো। প্রতিদিনের মতো সে তার কর্মস্থলে জাহাজে তেলের ট্যাঙ্কি পরিষ্কার করতে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা তার বন্ধু মটর নিয়ে আগে ভেতরে প্রবেশ করে। কিছু সময় অতিবাহিত হলেও সে ওপরে উঠে না আসায় শাওনসহ অন্য আরও দুজন ভেতরে প্রবেশ করে। এ অবস্থায় অক্সিজেনের সংকটে অচেতন হয়ে পড়েন।

পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে আমার শাওনের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে শাওনের চাচা জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, সে আমার ভাতিজা হলেও আমার ছেলের চেয়ে কম নয়। তার এমন মৃত্যু আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী কালু বলেন, আরব আমিরাতে শাওনের মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি তাৎক্ষণিক তাদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি। শাওন ছেলেটি এলাকায় সবার সঙ্গে আন্তরিক ছিল। সে বিদেশে গিয়েও সবার খোঁজখবর নিত। সে অত্যন্ত ভালো ছিল। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাখি বিক্রির দায়ে দুজনের কারাদণ্ড

ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে তছনছ বহু জনপদ, মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা

অস্ট্রেলিয়ায় বলের আঘাতে ১৭ বছর বয়সী ক্রিকেটারের মৃত্যু

ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ মাদ্রাসাশিক্ষার্থী দগ্ধ 

ট্রাম্প-শি বৈঠক শেষ, কী সিদ্ধান্ত হলো

৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে দীপিকার পাশে কোয়েল মল্লিক

প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজে বোমা হামলা করল যুক্তরাষ্ট্র

‘মথবীজে’ ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে মুগ ডাল হিসেবে বিক্রি

সিনেমার জন্য মেকআপ করা ছেড়ে দিচ্ছি: পূজা চেরী

এনসিপি ছাড়লেন আরও এক নেতা

১০

ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যের ডাক পারভেজ মল্লিকের

১১

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

১২

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ

১৩

বাঁশির বদলে গান শুনিয়ে বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের উদ্যোগ

১৪

শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু

১৫

সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক

১৬

প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর / বিদেশে সরাসরি মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারছেন না কুবি শিক্ষার্থীরা

১৭

সুপারসনিক বিমানের সফল পরীক্ষা, কী আছে এতে

১৮

ঘরে মুরগির মাংস দেখে সেজদায় লুটিয়ে পড়ল শিশু

১৯

ব্রাজিলে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, কী হচ্ছে সেখানে

২০
X