আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। ভোক্তা পর্যায়ে মানসম্মত ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে প্রতিবারই এ সময় বেঁধে দেয় প্রশাসন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ মে থেকেই গাছ থেকে আম নামাতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আম পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে এ সময় নির্ধারণ করা হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে একটি ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে সালমাসহ কৃষিবিদ, ফল গবেষক, আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে গুটি আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের আম সংগ্রহ কার্যক্রম। গোপালভোগ আম সংগ্রহ করা যাবে ২২ মে থেকে। লকনা বা লক্ষণভোগ ও রানীপছন্দ আম পাড়া যাবে ২৫ মে থেকে। এছাড়াও হিমসাগর ও খিরসাপাত ৩০ মে, ল্যাংড়া আম বা বানানা ম্যাংগো ১০ জুন, আম্রপালী বা ফজলি আম ১৫ জুন নামানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বারি-৪ আম ৫ জুলাই, আশ্বিনা আম ১০ জুলাই ও গৌড়মতি ১৫ জুলাই থেকে নামাতে পারবেন বাগান মালিকরা। এছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ জাতের সারা বছর পাড়া যাবে।
এ সময়ের আগে যদি কোনো কৃষক বা ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম নামান তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয় সভায়। তবে আবহাওয়াগত কারণে কোথাও আগেই আম পেকে গেলে স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে তারপর গাছ থেকে নামিয়ে বাজারজাত করা যাবে।
জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, রাজশাহীর ঐতিহ্য হচ্ছে আম। বাজারে পরিপক্ব ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করতে তাই প্রতি বছরই তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এবারও কৃষক, কৃষি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতেই ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের আগে যদি কোনো কৃষক বা ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম নামান তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় আম চাষ হচ্ছে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে। আর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ টন। তবে গত মৌসুমে জেলায় আমের আবাদ হয়েছিল ১৯ হাজারর ৬০২ হেক্টর জমিতে।
মন্তব্য করুন