চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালামকে ছুরিকাঘাত ও হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী রহিমা বেগম ২৫ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা করেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করতে করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- শাহাজাহান বাদশা ওরফে বাদশা (৩৮), শফিকুল ইসলাম (৪৫), হেলাল উদ্দিন হৃদয় (৩৮), আমজাদ হোসেন (৩৮), আশিকুর রহমান (৩৫), ওসমান ওরফে ডাকাত ওসমান (৩৮), কামরুল হাসান রিদোয়ান (৩৫), সাইদুল হক সাদু (৫৫), রফিক উল্লাহ হামিদী (৫৮) ও ইমাম হোসেন (৩০)। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ জনকে। আসামিদের সকলেই জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ে অধীনে ৩০টি দোকান রয়েছে। এসব দোকানের ভাড়ার টাকা স্কুল ফান্ডে রাখা হয় এবং উন্নয়নকাজে ব্যবহার করা হয়। দোকানের ভাড়ার টাকা থেকে চাঁদা দাবি ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে আসছিল স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি।
প্রধান শিক্ষক স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার সময় চিহ্নিত ব্যক্তিরা বসতঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আলমারির দরজা ভেঙে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ তিনটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় প্রধান শিক্ষককে তারা ঘর থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মারধর ও লুটের ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগম মামলা দয়ের করেছেন। তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালামকে জামায়াতের কর্মী দাবি করে হামলার প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। জামায়াতের প্রতিবাদ সভায় পুনরায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে চারজন জামায়াতের নেতা গুলিবিদ্ধ ৪ জনসহ ১০ আহত হয়। প্রধান শিক্ষক ও জামায়াতের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
মন্তব্য করুন