কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জুতা ব্যবসায়ী মো. ইউছুপ ভূঁঞা টিপুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুজনের যাবজ্জীবন ও ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামি পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার মরকোটা গ্রামের মৃত ডা. আবুল হাসেমের ছেলে মেহেদী হাসান জামশেদ (২১) ও একই উপজেলার দক্ষিণ চর চান্দিয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে শহীদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে মাসুম (৩২)।
১০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাগাজী উপজেলার চান্দলা পাটোয়ারী বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী (৩২), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গাংরা (ধানছা) গ্রামের মৃত আ. হালিমের ছেলে জামাল হোসেন মানিক (৩১) ও ধোরকড়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. একরামুল হক মিলন (৪১), নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মঙ্গলকান্দি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ইব্রাহিম (৪৫), সোনাগাজী উপজেলার সহদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন (২৮) ও চট্টগ্রাম মীরসরাই উপজেলার পশ্চিম সোনাই গ্রামের মৃত মুজাফফর হোসেনের ছেলে মো. শাহাবুদ্দিন (৩৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৬ মে রাত ২টার সময় মো. ইউছুপ ভূঁঞা টিপু (২৮) ঘরের বাইরে গেলে আসামিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী (৭৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল আসামিদের বিরদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। ১৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকে যাবজ্জীবন ও অপর ছয় আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এ মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি ইব্রাহিম, তাজু ও আবদুল রাজ্জাক মারা যান। আসামি আবুল হাসেম ভূইয়া ভুটু, মো. দুলাল, ফারুক হোসেন, ইলিয়াস ভূইয়া, আবুল কাশেম ও সাইফুল এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, মামলা চলাকালীন প্রধান আসামিসহ তিন আসামির মৃত্যু হয়। দুজনকে যাবজ্জীবন ও ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন