বগুড়ায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে শাকিল খন্দকার (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের ভাগনে তৌফিক ইসলাম।
স্বজনদের অভিযোগ, হত্যার পর অভিযুক্তরা মব তৈরি করে উল্টো শাকিলের ছেলে জয়কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। শাকিল সদর উপজেলার ছিলিমপুর এলাকার বাকিবুল্লাহ খন্দকারের ছেলে।
জানা যায়, শহরের তেলিপুকুর এলাকায় বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শাকিলের সঙ্গে শামীম ও পলাশের বিরোধ চলছিল।
শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাতে জমি কেনাবেচার পাওনা দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে আত্মীয় সুজনের মাধ্যমে শাকিলকে তেলিপুকুর গ্যাস পাম্পের পেছনের এলাকায় ডেকে নেওয়া হয়।
সেখানে পৌঁছালে পলাশ ও শামীম তাদের ৩০-৪০ জন সহযোগী নিয়ে শাকিলের ভাগনে তৌফিককে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে কুপিয়ে আহত করলে তিনি সেই অবস্থায়ই সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় পলাশ ও শামীম সহযোগীদের নিয়ে মব তৈরি করে শাকিলের ছেলে জয়কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ধরিয়ে দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেলিপুকুর এলাকায় বালু ব্যবসা ও আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল শাকিলের। পরিবারের অভিযোগ, শামীমসহ তার লোকজন পূর্বশত্রুতার জেরে শাকিলকে হত্যা করেছে। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্বজনরা জানান, শাকিলের সন্ধান না পেয়ে তারা রাতেই পুলিশের শরণাপন্ন হন, তবে পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়নি। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তেলিপুকুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে শাকিলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত নিলয় ও রাতুলকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিহত শাকিলের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান আছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন