রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার আস্তানায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- গোয়ালন্দের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, উজানচর ইউনিয়নের ১ নম্বর দিরাস্তুল্লাহ মৃধা পাড়ার বাসিন্দা ও উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. মাসুদ মৃধা, দেওয়ান পাড়া গ্রামের মো. শাফিন সরদার (১৮), এনামুল হক জনি (৩২) ও গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাডা গ্রামের কাজী অপু (২৫)।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, নুরাল পাগলার বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ, তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার আাসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার আস্তানায় উত্তেজিত জনতার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পাল্টা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। এতে আহত হন দুপক্ষের শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। নিহতের নাম মো. রাসেল মোল্লা (২৮)। তিনি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনা পঁচা জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ও গোয়ালন্দের ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মন্তব্য করুন