মাঝ আকাশে একটি যাত্রীবাহী বিমানের ইঞ্জিন বন্ধের চেষ্টায় অভিযুক্ত একজন সাবেক পাইলট ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালতের নথিতে দেখা গেছে, জোসেফ ডেভিড এমারসন নামের ওই ব্যক্তি আলাস্ক এয়ারল্যাইন্সের একটি ফ্লাইটের ককপিটে বসে দায়িত্ব পালনের সময় পাইলটকে বলেন, ‘আমি ঠিক নেই’ বলে মাঝ আকাশে বিমানের ইঞ্জিন বন্ধের চেষ্টা চালায়। খবর বিবিসি
এমারসন পুলিশকে বলেন, তিনি সাইকেডেলিক মাশরুম খাওয়ার পর থেকে অস্বস্থিতে ভুগছিলেন। তবে তিনি দোষ স্বীকার করায় বিচারক তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার কথা জানান। এ সময় তার আইনজীবী এর বেশি কারাদণ্ড না দেওয়ার আবেদন করেন।
সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, মাঝ আকাশে ইঞ্জিন বন্ধের চেষ্টায় রাজ্য আদালত তাকে ৫০ দিনের কারাদণ্ড দেয়। যদিও তিনি ইতোমধ্যে এই মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। এ ছাড়া আরও একাধিক শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর ৮০ জন যাত্রী নিয়ে ওয়াশিংটনের এভারেট থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রানসিস্কো যাচ্ছিল আলাস্ক এয়ারল্যাইন্সের ওই বিমানটি। পরে এটি ঘুরিয়ে পোল্যান্ডের ওরেগনে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এমারসনের এমন আচরণ থামাতে দ্রুতই পদক্ষেপ নেন পাইলট। তাকে ককপিট থেকে বের করে দেয়া। আর পুরো ঘটনাটি ঘটেছে মাত্র ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে।
নতিতে বলা হয়, ককপিট থেকে এমারসনকে বের করে দেওয়ার পর বিমানকর্মীদের তিনি বলেন, তোমাদের উচিত আমাকে এখনই বেঁধে ফেলা, না হলে খারাপ কিছু ঘটবে। এরপরই তিনি বিমান জরুরি নির্গমন স্থানে হাত রাখেন।
বিমানকর্মীদের একজন তদন্তকারীদের জানায়, এমারসন সবাইকে মেরে ফেলার জন্য সবকিছু করেছে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এদিকে ফেডারেল মামলায় তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন