বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২
আবু জুবায়ের উজ্জল, টাঙ্গাইল
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

ফেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতাল, টাঙ্গাইল। ছবি : কালবেলা
ফেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতাল, টাঙ্গাইল। ছবি : কালবেলা

সাইনবোর্ডে ডজনখানিক চিকিৎসকের নাম থাকলেও হাসপাতালে নিয়মিত বসেন মাত্র একজন। তাও দেখা মেলিনি সেই চিকিৎসকের। তিনি পূজার ছুটিতে আছেন। তাই আল্ট্রা সহযোগী এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে চলছে হাসপাতাল।

এ চিত্র টাঙ্গাইলে ফেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের।

সরেজমিনে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেখা যায় একজন ম্যানেজার তার কাউন্টারে বসে রয়েছে, একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান তার প্যাথলেজি বিভাগে বসে রয়েছে অপর দুজনের মধ্যে একজন আলট্রা রুমে বসে কাজ করছে এক নারী সহযোগী।

জানা যায়, টাঙ্গাইলে দুটি সরকারি হাসপাতালকে ঘিরে অসংখ্য অবৈধ ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এতে বেশিরভাগই নেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে পাওয়া যায়, জেলায় ৫৬০টি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ৫১টি অননুমোদিত রয়েছে। তারমধ্যে ফেয়ার হসপিটাল রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, সরকারি দুটি হাসপাতালের পাশ দিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। অথচ সরকারি হাসপাতালের চেয়ে ভালো মানের চিকিৎসা কোনো বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেই।

ফেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ও সার্জন ডাক্তার চৈতি তালুকদার বলেন, ফেয়ার হাসপাতালে আমি নিয়মিত বসি। বর্তমানে পূজার ছুটিতে আছি।

ফেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক আশীষ কুমার মালাকার বলেন, আমাদের ক্লিনিকে অনেকগুলা শেয়ার হোল্ডার। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি জামাতসহ বেশ কিছু লোকজন নিয়েই এ ক্লিনিকটি পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড রয়েছে। যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ডধারিরা বেশ কিছু সুবিধা পাবে। এরমধ্যে প্যাথলজি, এক্সরে, আল্ট্রাসহ অন্যান্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবে। এনজিও সদস্যরা এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘টাঙ্গাইলে বড় দুটি সরকারি হাসপাতাল। একটি ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট অপরটি ২৫০শয্যা বিশিষ্ট। তার চারপাশেই হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়গনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে পাশে ক্লিনিক গড়ে তোলে যেন ব্যাবসায় ভাল করা যায়। অর্থাৎ রোগী বেশি পাওয়া।’

এছাড়া তিনি বলেন, ‘কখনোই একজন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতাল চলতে পারে না। শুধুমাত্র দুজন সহযোগী নারী কর্মী দিয়ে যে হাসপাতাল চলে সেই ব্যাপারে আমি দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি।’

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ফরাজী মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘জেলায় যতগুলো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক রয়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের কতজন ডাক্তার নার্স এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা সেটি ভালো করে খতিয়ে দেখছি। এরপর সে সমস্ত হাসপাতালগুলোকে যথাযথ আইনের আওতায় আনা হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নর্থ আমেরিকা পররাষ্ট্র কমিটির বৈঠক

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকলে মিলে দেশ গড়বো : ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

বকেয়া বিল আদায়ের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান 

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’

চবির ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম অভিযোগ গেল দুদকে

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

চারদিন পর খাগড়াছড়িতে অবরোধ স্থগিত

চলতি অর্থবছর কেমন হবে, জানাল এডিবি

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবাই মিলে দেশ গড়ব : ড. ফরিদুজ্জামান

১০

সিপিআর বাঁচাতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লাখো প্রাণ

১১

‘আল্লাহ, তুই দেহিস’ / সেই বৃদ্ধের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার

১২

গানপাউডারসহ আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

১৩

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৪ হাজারের বেশি আনসার-ভিডিপি

১৪

গর্ভাবস্থায় নারীদের বমি-বমি ভাবের ‘আসল রহস্য’ জানালেন গবেষকরা

১৫

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার ৭ সুপারিশ

১৬

তারেক মনোয়ারের বিষয়ে জামায়াতের বার্তা

১৭

ডা. শফিকুর রহমান হবেন বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী : ইয়াসিন খাঁন

১৮

আসুন আমরা অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি : মঈন খান

১৯

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন

২০
X