অনেকেই একটা টুথব্রাশ কিনে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর ব্যবহার করে থাকেন। যতক্ষণ না ব্রাশটা একেবারে জীর্ণ হয়ে যায়, ততক্ষণ পরিবর্তনের প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এটা দাঁতের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
দন্ত চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস পর টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত। কারণ এই সময়ের মধ্যে:
- ব্রাশের ব্রিস্টলে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়
- ব্রিস্টল দুর্বল হয়ে যায়, যাকে বলা হয় Bristle Flaring
আরও পড়ুন : সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ে ঝিঁঝি? জানুন কেন হয়
আরও পড়ুন : ব্রাশ করার পরও মুখে গন্ধ? চিন্তার কিছু নেই, সমাধান আছে
- দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না
- সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে
- ব্যাকটেরিয়া জমে গিয়ে দাঁতের রোগ বাড়ায়
- ব্রাশের ক্ষয়ে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়
- মাড়ির ইনফেকশন, মুখে দুর্গন্ধ, এমনকি ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে
- দাঁতের ঠিকঠাক পরিষ্কার না হওয়ায় ক্যাভিটি ও প্লাক তৈরি হয়
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি ৪০ দিনের বেশি একটি টুথব্রাশ ব্যবহার করেন, তবে তার ব্রিস্টলগুলোর আকৃতি বদলে গিয়ে পরিষ্কারের কার্যকারিতা কমে যায়। এতে দাঁতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ব্রিস্টলগুলো ছড়িয়ে গেছে বা বাঁকা হয়ে গেছে
- আপনি অসুস্থ ছিলেন—ঠান্ডা, ভাইরাস, ইনফেকশন হলে
- ব্রাশের গন্ধ বা রং বদলে গেছে
- ব্রাশের মাথা (হেড) নরম বা খসখসে লাগছে
- ইলেকট্রিক টুথব্রাশ হলে প্রতি ৩ মাসে হেড পরিবর্তন
আরও পড়ুন : খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস খাওয়া কতটা ভালো
আরও পড়ুন : সকালে ঘুম ভাঙতেই কোমর ব্যথা? জানুন সহজ সমাধান
মনে রাখবেন, একটা ছোট টুথব্রাশ নিয়মিত বদলে ফেলা দাঁতের অনেক বড় সমস্যা থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে। তাই নিয়মিত পরিবর্তনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
চাইলে ফোনে বা ক্যালেন্ডারে প্রতি ৩ মাস পরপর একটি রিমাইন্ডার দিয়ে রাখতে পারেন টুথব্রাশ বদলানোর জন্য। দাঁতের যত্ন শুধু ব্রাশ করলেই হয় না, ব্রাশটি সঠিক অবস্থায় আছে কি না তা দেখা আরও জরুরি। তাই দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য টুথব্রাশ বদলান নিয়মমাফিক!
সূত্র : ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক
মন্তব্য করুন