সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় যাদুকাটা-১ নামে সরকারি বালু মহালের ইজারাদারদের নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে দীর্ঘদিনের জটিলতা ও বিভ্রান্তি কাটিয়ে স্বচ্ছভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেদী হাসান মানিকের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি টিম যাদুকাটা নদীর নির্ধারিত অংশে উপস্থিত হয়ে ইজারাদারদের উত্তোলনযোগ্য জায়গা পরিদর্শন ও সীমা নির্ধারণ করে দেন।
ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বালু উত্তোলন করা যাবে না। আমরা আজ (গতকাল) মাঠ পরিদর্শন করে সীমানা নির্ধারণ করেছি, যাতে নদীর পরিবেশ রক্ষা ও রাজস্ব আদায় দুটোই নিশ্চিত হয়। নিয়ম ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরুখ হাসান শান্তনু, তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন, সার্ভেয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিহিভাটির তহশিলদার আশিষ কুমার, ইজারাদার নাসির মিয়াসহ স্থানীয় সাংবাদিক, তাহিরপুর থানা পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নদীপাড়ের বসতি ও স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যাদুকাটা নদীর ইজারাকৃত জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার ফলে ইজারাদাররা নির্ধারিত স্থান থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে। চাইলেই তারা পাড় কাটতে পারবে না। সরকারি নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করলে নদী ও আশপাশের হাওরাঞ্চলের ক্ষতি অনেকাংশে কমবে।
যাদুকাটা-১ ইজারাদার নাসির মিয়া বলেন, প্রশাসন আমাদের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ায় এখন আমরা স্বস্তিতে আছি। আগে অনিশ্চয়তায় কাজ বন্ধ ছিল, এখন নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করব।
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে পুলিশ সর্বদা সতর্ক। প্রশাসন নির্ধারিত এলাকার বাইরে কেউ বালু তুললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন