সরকারি কাজে বাধা ও নাশকতার মামলায় ঠাকুরগাঁও বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপি অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় কর্মসূচি ঘিরে নতুন করে গ্রেপ্তার শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তবে পুলিশ বলছে কোন কর্মসুচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যারা আইনভঙ্গ করছে তাঁদেরকে শুধু গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ অক্টোর রাত থেকে ২৬ অক্টোর সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ১৩ জন নেতা–কর্মী ও জামায়াতের ৩ জনকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বিএনপির জেলা নির্বাহী সদস্য আব্দুস সামাদ মিলার, হরিপুরের ৬ নম্বর ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রাণীশংকৈল যুবদল সাধারণ সম্পাদক আতিক, রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবু সাঈদ, যুবদলের সদস্য মিঠু, ওলেমা দল সদস্য জাহেরুল, দুওসুও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা সুখানপুকুরী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য হেলাল উদ্দিন, বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য আল আমীন, গড়েয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি ইদু উল্লাহ, গড়েয়া ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি টিংকু, রুহিয়া থানার ১ নম্বর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, পীরগঞ্জ উপজেলার ৫নং সৈয়দপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী, ৩ নম্বর খনগাঁ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য আল আমীন।
বিএনপির নেতাদের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আব্দুল হালিম জানান, ২৮ অক্টোর আমাদের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন রকম ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়নি। কিছুদিন আগে বিএনপি অফিস থেকে একটি মিছিল বের করে। ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার একটি মামলা করে। কিন্তু যাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এ জাহারে তাঁদের নাম ছিল না।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, ২৮ অক্টোবরের বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। যদি কেউ কখনো আইন ভঙ্গ করে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো। নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার দুটি মামলায় বিএনপির ১৩ জন ও জামায়াতের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করার পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন