টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ফিরে গেল মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। ছবি : কালবেলা
রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। ছবি : কালবেলা

কক্সবাজারের টেকনাফে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ফিরে গেছে টেকনাফে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। গত দুদিনে ২৭১ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা। বুধবার (১ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নৌপথে নাফ নদী দিয়ে দুটি ট্রলারে টেকনাফ জেটিঘাটে পৌঁছায় মিয়ানমারের আরকান রাজ্যের প্রধান সাউ নাইংয়ের নেতৃত্বে ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সারাদিন সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে তারা মিয়ানমার ফেরত যায়। এর আগে মঙ্গলবারও (৩১ অক্টোবর) তারা এসে একইভাবে কার্যক্রম চালিয়ে একইদিন ফেরত যান।

ক্যাম্প সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের ২৬-২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আসা ১৮০ জন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পৃথকভাবে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল কথা বলেন। সেখানে প্রত্যাবাসন ইস্যুসহ জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টি তোলা হয়। পরদিন বুধবার একই বিষয়ে ৯১ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেন প্রতিনিধি দল। পরে তারা মিয়ানমার ফেরত চলে যান।

টেকনাফের মুচনি ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি বদরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে জমা দেওয়া তালিকাভুক্ত ছোট শিশু (ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া) রোহিঙ্গা শিশুদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল। তারা এটা নিশ্চিত হতে চেয়েছেন, এক পরিবারের যদি পাঁচ সন্তান থাকেন এর মধ্যে কজন বাংলাদেশে ও কজন মিয়ানমারের জন্ম হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করলেও সে দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কোনো আলাপ করেনি।

তিনি বলেন, মিয়ানমার আমাদের দেশ। আমরা নিজ দেশে অবশ্যই ফিরে যাব। কিন্তু আমাদের নাগরিক অধিকার, ভিটা-মাটি ফেরতসহ রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, মিয়ানমারের ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদিন ব্যাপী ২৭১ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। তারা বিকেলের দিকে মিয়ানমার ফেরত চলে যান।

তিনি আরও বলেন, জল ও স্থলপথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে। যা ২০১৮ সালে দুদেশের চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। আমরা জল ও স্থল পথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমরা আশা করি, দুপক্ষের সমঝোতায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

শরণার্থী কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মাঝে আস্থার যে সংকট রয়েছে সেটি দূর করতে চেষ্টা করছি। অচিরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অবশ্যই মর্যাদাপূর্ণ টেকসই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে হাসপাতালে আগুন, আইসিইউতে ৬ রোগীর মৃত্যু

কীভাবে নির্বাচিত হন বিসিবি সভাপতি, জেনে নিন পুরো প্রক্রিয়া

সময় এসে গেছে, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরব : তারেক রহমান

জুলাই আন্দোলনে আমি আমাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না : তারেক রহমান

জুবিন গার্গের মৃত্যুরহস্যে নতুন মোড়, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

শেখ সাদি তোমার প্রেমিক? উত্তরে যা বললেন পরীমনি

বহুল আলোচিত বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

করতোয়া নদীতে নৌকাবাইচে সংঘর্ষ, আহত ১৭

সন্ধ্যার মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আভাস

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, অতঃপর...

১০

লাউয়াছড়ায় গাড়ি পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

১১

আলোচিত বেগমপাড়ায় কার কয়টি বাড়ি-ফ্ল্যাট

১২

মালিক বাড়িতে নেই, গরু বিক্রি করে লাপাত্তা কর্মচারী

১৩

শয়তানের নিশ্বাস ছড়িয়ে গৃহবধূর সর্বস্ব লুট

১৪

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প / দরকষাকষি চলছে, আরও সময় লাগবে

১৫

সকালে ঘুম থেকেই উঠেই কি মোবাইল ফোন ঘাঁটেন, হতে পারে যেসব বিপদ

১৬

সাগরে মিলল ১২ কোটি টাকার গুপ্তধন

১৭

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৮

বিশ্ব শিশু দিবস আজ 

১৯

এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস 

২০
X