সিলেটের ওসমানীনগরে বিগত কয়েকদিন থেকে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি নিয়ে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছে। এমনকি প্রতি কেজি গরুর মাংস ১১শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি না করার অপরাধে শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার গোয়ালা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বেশি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাজার থাকলেও প্রতিদিন গরু এবং খাশির মাংস বিক্রি হয় গোয়ালা বাজারের ভাই ভাই মিট হাউস এবং মামুন মিট হাউসে। দয়ামীর বাজারে আরও দুটি দোকান থাকলেও সেখানে শুধু বৃহস্পতিবারে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তাজপুর বাজারে একটি মাংস বিক্রির দোকান দির্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া উমরপুর বাজার, বুরুঙ্গা বাজার, কলারাই বাজারসহ কয়েকটি বড় বাজারে গরুর মাংসের দোকান না থাকায় ক্রেতারা প্রতিদিন মাংস কিনতে আসেন গোয়ালা বাজারে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রমজানের আগে থেকেই গোয়ালা বাজরে প্রতি কেজি গরুর মাংস ১১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
এ নিয়ে ক্রেতারা প্রতিবাদ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশিনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব দাশ পুরকায়স্ত। এ সময় গোয়ালাবাজারের দুই মাংস বিক্রেতা ও দুই ফল ব্যবসায়িকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গোয়ালা বাজারের মাংস বিক্রেতা ভাই ভাই মিট হাউস এবং মামুন মিট হাউস সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দরে মাংস বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয় এবং সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর শনিবার সন্ধ্যা থেকে এ দুই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন বিক্রেতারা। এতে মাংস কিনতে আসা অনেকই পড়েছেন বিপাকে।
গরুর মাংস নিতে আসা নজরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, জানতে পেরেছি গোয়ালা বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি হবে। এখানে এসে দেখি দোকানই বন্ধ। পাশাপাশি বাজার এলাকায় মাংসের অন্য কোনো দোকান না থাকায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাংস বিক্রেতা মামুন মিট হাউসের পরিচালক হাছিব আলীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভাই ভাই মিট হাউসের পরিচালক চোরাব আলী বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করলে পোষায় না। তাই আমার দোকান বন্ধ রেখেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক যা দরকার তা উপজেলা প্রশাসন করবে।
মন্তব্য করুন