কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এসিল্যান্ডকে দেখেই ৫০০ টাকার তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি শুরু করে ব্যবসায়ীরা। আর দাম কমার খবরে দোকানে ভিড় জমে ক্রেতাদের।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তাছবীর হোসেন।
জানা যায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস তরমুজ ৫০০ টাকায় বিক্রি করছিল। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়েই তরমুজের দাম ৩০০ টাকা কমিয়ে দেয় তারা। আর দাম কমার খবরে দোকানে মুহূর্তেই জমে যায় ক্রেতাদের ভিড়। নিমিষেই বিক্রি হয়ে যায় শত শত তরমুজ।
তরমুজ কিনে হাসিমুখে আব্দুস সালাম জানান, রোজার মধ্যে আজ প্রথম তরমুজ কিনেছি। এতদিন ৪০০-৫০০ টাকায় তরমুজ বিক্রি করায় কিনতে পারিনি। কিন্তু আজকে এসিল্যান্ড আসার পর তরমুজের দাম ২০০ টাকা হওয়ায় আমি তরমুজ কিনেছি।
দুইটা তরমুজ ৪০০ টাকায় কিনে মো. কামাল বলেন, এভাবেই যদি প্রশাসন বাজার মনিটরিং করত তাহলে অসাদু ব্যবসায়ীরা বেশি দাম নিতে পারত না। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং এ রকম অভিযান আরও পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাছবীর হোসেন বলেন, আমরা ক্রয়মূল্য দেখেই ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভে বিক্রি করার জন্য বলে থাকি। যেখানে ক্রয়কৃত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে তাদেরকে জরিমানা করছি। আজ ১৮০ টাকা ধরে ক্রয়কৃত তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি করেছে ব্যবসায়ীরা। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালে রাখতে আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন