খুলনার পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব ও প্রবল জোয়ারের কারণে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে সোলাদানা ও দেলুটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রাম। ভেসে গেছে কয়েক হাজার বিঘা চিংড়ি ঘেরের মাছ। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এ দুটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোলাদানা ইউনিয়নের হরিখালী এলাকায় ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করার কারণে কয়েক হাজার বিঘা জমির চিংড়ি ঘেরের মাছ, ফসলি জমি, বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। স্থানীয়রা সোলাদানা বাজার এলাকায় ভাঙা বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে। এখনো শত শত বাড়ি পানিবন্দি। এই ইউনিয়নের ৬টি স্কুলের আঙিনা পানিতে ডুবে থাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
দেলুটি ইউনিয়নের অনন্ত ১২টি স্থানে বাঁধ ভেঙে স্থানীয়রা ৯টি স্থানে বাঁধ দিতে সক্ষম হলেও এখনো ৩টি স্থানে বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পারমধুখালী, তেলিখালী, গেওয়া বুনিয়া এলাকা দিয়ে এখনো জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, যেসব এলাকার বাঁধ এখনো দেওয়া সম্ভব হয়নি সেসব এলাকায় স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পানিবন্দি মানুষদের মাঝে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছ।
কয়রা-পাইকগাছা আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান জানান, ’৬০-এর দশকে ওয়াপদার বাঁধ তৈরি হয়। তারপর থেকে এ বাঁধ কখনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কোথাও না কোথাও ভাঙনের সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত টেকশই বেড়িবাঁধ হলে দুই উপজেলাবাসী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
মন্তব্য করুন