রাজবাড়ীর সোনাপুরে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটগুলোতে পুরোদমে চলছে বেচা-কেনা। কেউ বাজারে এসেছেন কোরবানির পশু কিনতে আবার কেউ এসেছেন পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে । এতে কোরবানির পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সোনাপুর পশুহাটে গরু কিনতে আসা মো. সবুর শেখ ও আক্কাস ব্যাপারী জানান, আর মাত্র কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। যার কারণে এ হাটে এসেছি গরু কিনতে। এর আগেও কয়েকটি হাটে গিয়েছি। হাট ঘুরে বুঝতে পেরেছি, এ বছর কোরবানির পশুর দাম বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবুও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কেনার চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে এ হাটে খামারের গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন আব্দুর রহিম ও মিরাজ হোসেন। তারা বলেন, ক্রেতারা দাম আমাদের চাহিদার থেকে কম বলছেন। তাদের দামে আমরা গরু দিতে পারছি না। কারণ এ বছর খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় গরুর পেছনে আমাদের খরচও বেশি হয়েছে। তবুও ক্রেতাদের সঙ্গে দামে মিললে গরুগুলো বিক্রি করে দেব।
সোনাপুর পশু হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা এবার ঈদকে সামনে রেখে খুবই সীমিত আকারে হাসিল খরচ নিচ্ছি। গরু এক হাজার টাকা ও ছাগল পাঁচশ টাকা করে হাসিল খরচ দিতে হচ্ছে দেখে খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। বাজারে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দারা মনিটরিং করা হচ্ছে এবং হাটে গরু-ছাগল অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হাটে বেচাকেনা হচ্ছে। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার আপনার কোরবানির পশু কিনতে ও বিক্রি করতে চলে আসুন সোনাপুর পশু হাটে।
মন্তব্য করুন