রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে আদালতে আত্মসমর্পণের পর তিন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। এ সময় দেশে ধারাবাহিক সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাফিউল আলম।
আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী ঢাকা আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম।
আসামিরা হলেন- আলী হোসেন (৪৫), মামুন আহমেদ (৪২), এবং শাহীন আহমেদ (৩৪)। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩০ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মামলার বাদী ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রেদওয়ানুল হক ও কালবেলার সাংবাদিক আব্দুজ্জাহের ভূইয়া আনাস মতিঝিল থানাধীন দক্ষিণ কমলাপুরস্থ উটের খামার সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে ফুটপাতের ওপর বসে ছিলেন।
এ সময় আসামিরাসহ আরও ৮/১০ জন এসে উত্তেজিত ভাষায় তাদের ওই স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় এবং মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আসামিরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ শুরু করে এবং কিল ঘুষি ও লাথি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে।
একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে শক্ত বস্তু দিয়ে মাথায় গুরুতরভাবে আঘাত করতে থাকে, যার ফলে ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিকের মাথায় নীলাফোলা জখম হয়। পরে ভুক্তভোগীরা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আসামিদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের কোন পূর্ব শত্রুতা ছিল না। যেহেতু তারা সাংবাদিক, তাই হয়ত তাদের প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনে সংক্ষুব্ধ কারো ইন্ধনে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে ওই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রেদওয়ানুল হক বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন