বুটেক্স প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জীবনবৃত্তান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা ছাত্রলীগ পদপ্রত্যাশীদের

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

সরকারি চাকরির বৈষম্যমূলক কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ছাত্রলীগ পদপ্রত্যাশীরা জমাকৃত জীবনবৃত্তান্ত প্রত্যাহার ও ছাত্ররাজনীতির সব কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল থেকে ছাত্রলীগ পদপ্রত্যাশীদের অনেকে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে বুটেক্স ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য জমা দেওয়া জীবনবৃত্তান্ত তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তাছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় থাকবেন বলেও জানান তারা।

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমি বুটেক্স ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম। বিভিন্ন সময়ে মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সুদিনে দুর্দিনে পাশে থেকেছি। তবে কখনো নিজের নীতি-নৈতিকতা থেকে পিছপা হইনি। আজ দেশ ও জাতির এক সংকট লগ্নে, সারা দেশের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের যৌক্তিক সংগ্রামের পাশে থেকে ছাত্রলীগ থেকে সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালাম। যেই ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের হামলায় আমার ভাইয়ের প্রাণ দিতে হয়, আমি সেই ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের অংশ হিসেবে থাকতে চাই না। পাশাপাশি সেই সংগঠনের পদপ্রার্থী হিসেবে আমি আমার জীবনবৃত্তান্ত তুলে নিতে চাই।

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সপ্তক বড়ুয়া ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘এতদিন নিজের এলাকার জন্য, নিজের এলাকার ছোট ভাইদের জন্য আমি বুটেক্স ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। গতকাল যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি আমার জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। নিজেকে কালকে সারাটা রাত ব্যক্তিত্বহীন, লাইফলেস মনে হচ্ছিল। ঘুমাতে পারিন। তাই আজ নিজেকে সাধারণ ছাত্র আন্দোলনে শামিল করলাম। আমি ছাত্রলীগ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। একইসঙ্গে আমার ছাত্রলীগের পদের জন্য জমা দেওয়া সিভি আমি বাতিল করে নিচ্ছি। আমি সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম, আছি ও থাকব। আমার একটাই পরিচয় আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী।

এরকম আরও অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে পোস্ট করে ছাত্রলীগ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের অস্তিত্ব চান না বলে একমত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে দেখা যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটাবিরোধী আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্ত্রী-সন্তানসহ সৌদিপ্রবাসী মনিরের মৃত্যু, বাসার তত্ত্বাবধায়ক আটক

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১০

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

১১

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

১২

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

১৩

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

১৪

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১৫

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

১৬

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

১৭

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

১৮

পাবিপ্রবিতে শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণা প্রণোদনা প্রদান

১৯

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান নিয়ে বিএনপির কমিটি

২০
X