জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দুটি হলে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি পেল জবি

সংবাদ সম্মেলনে করে জবি সংস্কার আন্দোলনের হল ও ধূপখোলা মাঠ বিষয়ক কমিটি। ছবি : কালবেলা
সংবাদ সম্মেলনে করে জবি সংস্কার আন্দোলনের হল ও ধূপখোলা মাঠ বিষয়ক কমিটি। ছবি : কালবেলা

নিজস্ব সম্পত্তি, ভিপি, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও পরিত্যক্ত ভবনসহ ১২টি হল রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। এগুলোর মধ্যে ভিপি সম্পত্তি ও সহজে উদ্ধারযোগ্য হলগুলো দখলের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এরই মধ্যে দুটি হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে। হল দুটি হলো- বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জবি সংস্কার আন্দোলনের হল ও ধূপখোলা মাঠ বিষয়ক কমিটি সংবাদ সম্মেলনে করে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্যারিদাস রোডে ১৭ শতক জমির উপর বাণীভবন হল। বর্তমানে এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলেই রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে লিজমানি পরিশোধ না করায় এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ টাকা। অপরদিকে বংশাল মালিটোলায় ১৬ শতক জমির উপর হাবিবুর রহমান হল। যার দখলও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেই রয়েছে। এটির লিজমানি বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা। লিজমানি বকেয়া থাকার কারণে এসব হলে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি ছিল না। ‘হল ও ধুপখোলা মাঠ কমিটি’ এবং জবি সংস্থার আন্দোলন ডিসি অফিস থেকে লিজমানি বকেয়া রেখে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি আনতে সক্ষম হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, তিব্বত হল বা গুলশানারা সিটি মার্কেট নামে পরিচিত এই মার্কেটটির মোট জমি প্রায় এক একর। তার মধ্যে প্রায় ৫৩ শতক ভিপি জমি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ প্রায় ১৫ শতক (৮ কাঠা)। যেটি মামলার আওতাধীন রয়েছে। কোর্টের সব মামলায় সরকার পক্ষ হেরে যায়। মামলার প্রক্রিয়া বর্তমানে ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে’ চলমান রয়েছে।

ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, হল সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে জটিলতার কারণে এগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি বিকল্প সমাধানের ব্যাপারেও জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন করেছি। সেই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে যেটি এই সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে বিকল্প সমাধান ও হল সংক্রান্ত সার্বিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন এডিসি।

এক প্রশ্নের জবাবে নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা নিয়ে আইনগতভাবে হলগুলো উদ্ধারের ব্যাপারে জোর দিচ্ছি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাপোর্ট করছ। আমরা আন্দোলন করে হল উদ্ধারের পক্ষে নই, লিগ্যালি কাগজপত্র নিয়ে আগাবো। আর ব্যক্তিগত পোস্টের মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সফল হতে দিবে না জবি সংস্কার আন্দোলন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হামজাকে দলে পেতে মরিয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব

খালেদা জিয়ার সুস্থতাই দেশবাসীর কামনা: টুকু

ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে ৪ বাংলাদেশি নাবিক উদ্ধার

নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মারা গেছেন

মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় বক্তার মৃত্যু

বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে পতাকাসহ ঝাঁপ দেবেন ৫৪ প্যারাট্রুপার

আগামী জাতীয় নির্বাচন / বৃহত্তর সুন্নী জোটের সাথে একীভূত হচ্ছে প্রগতিশীল ইসলামী জোট

সড়ক দুর্ঘটনায় স্লিপার বাস, নিহত ১

রেল ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ যাচ্ছেন রেলের ১২ কর্মী

ঢাকা–১৯ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুহিউদ্দীন রাব্বানীর শোডাউন

১০

তাপমাত্রা কমবে না বাড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১১

৩ লাল কার্ডের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনার ক্লাব

১২

৮ পরিকল্পনা ঘোষণা তারেক রহমানের

১৩

দলীয় প্রার্থীদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১৪

আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই: মাসুদ সাঈদী

১৫

মওলানা ভাসানী সেতু সড়কে ‘লাল নিশান’

১৬

চবি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে মানববন্ধন

১৭

শেবাচিমের লাখ লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী পানির দরে বিক্রি

১৮

সৌদি আরবে দ্গ্ধ হয়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

১৯

ইসলামী আন্দোলন ছেড়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন মুফতি হাবিবুর রহমান

২০
X