রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিন দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

রাষ্ট্র পুনর্গঠন কাঠামোতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ এবং ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে রাজশাহীতে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে তিন দফা দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা এবং দাবি উত্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব।

তাদের দাবিগুলো হলো- ১. রাবি, জাবি, চবি, জবি, সাত কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ বাংলাদেশের সব স্টেকের যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

২. সংস্কার কমিশন, পিএসসি, ইউজিসিসহ রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো পুনঃর্গঠন করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

এর আগে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা- ‘ঢাবি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘অবৈধ সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঢাবি না রাবি, রাবি রাবি’, ‘ঢাবি না খুবি, খুবি খুবি’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘ঢাকা না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, জুলাই বিপ্লবে দেশের প্রতিটি প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয়, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের একটা দুর্গ গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সেই একক আধিপত্যবাদের ব্যাপারটা আবার চলে এসেছে। ইউজিসি-পিএসসিতে সদস্য, সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, এমনকি উপদেষ্টামন্ডলী— সবকিছুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনে দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত ঝরেছে, তাহলে সুবিধা কেন একটি প্রতিষ্ঠান পাবে?

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার সুপারিশ

নির্বাচনে জোট গঠন নিয়ে যা জানালেন নাহিদ ইসলাম

মোহাম্মদপুর-বছিলা এলাকায় যানজট নিরসনে ডিএমপির আট নির্দেশনা

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

বিচার চলাকালীন আ.লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

‘সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই’

স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ 

‘সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন’ ড. ইউনূসকে মির্জা ফখরুল

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় / শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, বদলে গেল উত্তরপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি

১০

শুরু হয়েছে ‘মুক্ত সুরের ছন্দ’

১১

কোকা কোলা বর্জন শুরু করেছে ইউরোপের এক দেশ

১২

সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন

১৩

হার্ভার্ডে মুসলিম শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা চরমে, ঝুঁকিতে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও

১৪

পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা হয়নি ৬ পরিবারের

১৫

আ.লীগ আর কোনোভাবেই রাজনীতি করতে পারবে না : সারজিস

১৬

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা / চিন্ময় দাসের জামিনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

১৭

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১৮

সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশ রোধের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে : এমএসএফ

১৯

২ ঘণ্টায় লিখা হয় ‘তোমার ব্যথায় আমি’ 

২০
X