খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কলেজটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশনে বসেন একদল শিক্ষার্থী। অনশনটি এখনো চলমান রয়েছে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, একটা ব্যক্তিগত দলীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কুয়েট ভিসি একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে অনশনের ডাক দিয়েছে তার পূর্ণ সম্মতি জানিয়ে আজকে আমাদের এই অনশনে বসেছি এবং ভিসি মাসুদের পদত্যাগ করতে হবে। কুয়েটের শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ পর্যন্ত অনশনে থাকবে আমরাও ততক্ষণ অনশনে থাকব। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই এটা একটা রক্তের ওপর দাঁড়ানো সরকার, বিপ্লবের মাধ্যমে এই সরকার গঠন হয়েছে। যদি ছাত্রদের, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে গিয়ে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় অনীহা প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে তাদের থাকার কোনো দরকার নেই।
এসময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মুইনুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে দুই মাস আগে কুয়েট শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি একটি স্মারক লিপি দিয়েছিল। সরকারের যদি স্বদ ইচ্ছা থাকতো তাহলে খুব সুন্দরভাবে এর একটা সমাধান করত; কিন্তু সরকার এটা করেনি বরং নির্লজ্জভাবে যারা ভিক্টিম তাদেরকেই উলটো বহিষ্কার করেছে। এটা শিক্ষার্থীদের প্রতি একের পর এক জুলুম করা হচ্ছে, আমরা মূলত তার বিরুদ্ধে এখানে অনশনে বসেছি। সেখানকার ভিসি মাসুদের পদত্যাগ চাচ্ছি। সে যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ না করবে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা এখানে অনশন করব।
তিনি আরও বলেন, একটা কথা স্মরণ করে দিতে চাই- একটা আসনে আঁকড়ে ধরে থাকার যে টেনডেন্সি তা ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছিল। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো ধরনের ফ্যাসিস্ট আমরা চাই না।
উল্লেখ্য, কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করছে কুয়েট শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন