সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৪-এর নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ (গশিপ) মনোনীত প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে।
আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দল অংশগ্রহণ না করায় বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জীতেন্দ্র নাথ অধীকারী সিকৃবি গশিপ মনোনীত প্যানেলের ১১ জন প্রার্থীকে সবগুলো পদে জয়যুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন।
এতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজননতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আল মামুন। উক্ত কমিটিতে সহসভাপতির দায়িত্বে ড. আনজুমান আরা, কোষাধ্যক্ষ ড. অসীম সিকদার এবং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ড. কাজী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. মো. শাহ্ আলমগীর, ড. মো. মোশাররফ হোসেন সরকার, ড. তন্বী দে, মো. জানিবুল আলম সোয়েব এবং ডা. মো. মাসুদ পারভেজ।
শিক্ষক সমিতির নতুন সভাপতি ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধু আর্দশের পরিচালিত শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদসহ সকল শিক্ষকদের প্রতি। আমি আমার এ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। সিকৃবিকে শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষকদের সহায়তায় এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক কাজ করে যাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে সদা কাজ করব।'
এদিকে নতুন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আল মামুন বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমানকে। সিকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণের সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষকদের নায্য দাবিসমূহ প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাব। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সচেষ্ট থাকবে।"
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন থাকলেও আওয়ামী পন্থী দল ছাড়া অন্য কোনো দল মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী পন্থী গশিপ মনোনীত ১১ জন প্রার্থীকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন