চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) টুমোরজ সিটিজের উদ্যোগে ‘Multi-hazard Resilient and Equitable Tomorrow's Cities’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ও টুমোরজ সিটি’জ ওয়ার্ক প্যাকেজ-২ এর লিড অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারবার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. আসিফুল হক এবং এনএসইটি-নেপালের উপনির্বাহী পরিচালক ও টুমোরজ সিটি’জ-এর জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপনা সদস্য ড. রমেশ গুরাগাইন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও টুমোরজ সিটি’জ প্রোজেক্ট কোর্ডিনেটর ড. মো. বশির জিশান ও সঞ্চালন করেন গবেষণা সহকারী তানভীর মাহমুদ। সেমিনারে টুমোরজ সিটি’জ কাজের ওপর টেকনিক্যাল টক প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মো. বশির জিসান, মো. সোহেল রানা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য উন্নয়নকে টেকসই করে গড়তে হবে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সমস্যায় প্রকৌশলীবিদ, প্রযুক্তিবিদ এবং আবহাওয়াবিদদের সমন্বয়ে আমাদের কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ ধরনের সেমিনার বর্তমানে অত্যন্ত সময়োপযোগী। কারণ এখন নগরায়ণ বহুগুণে বেড়েছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
এ বিষয়ে চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ও টুমোরজ সিটি'জ ওয়ার্ক প্যাকেজ-২ এর লিড অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, ‘এ প্রজেক্টটি চুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের মোট ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্পের কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় গবেষণার দ্বার খুলে যাবে। এ ছাড়া এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের শহর দুর্যোগ সহিষ্ণু হয়ে উঠবে।’
উল্লেখ্য, টুমোরজ সিটি’জ গবেষণা প্রজেক্ট চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে যুক্তরাজ্যের ইডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পরিচালনা করছে।
সেমিনারে ২০৫০ সালের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ও চট্টগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের দুর্যোগ প্রতিরোধী ও সকলের জন্য সুবিধাসম্পন্ন গবেষণালব্ধ একটি সম্ভাব্য নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এ গবেষণা প্রকল্পে এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দুর্যোগের জন্য পলিসির সমন্বয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধস ইত্যাদি দুর্যোগের জন্য জালিয়া পালং ও বৈরাগের ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি নিরূপণ করা হয়।
গবেষণাটিতে সম্পন্নকৃত কর্ম এবং টিসিডিসিই পদ্ধতির প্রয়োগ করে ভবিষ্যতে দুর্যোগ ঝুঁকি ও ক্ষতি নিরূপণের মাধ্যমে সবার জন্য সুবিধা সম্বলিত নগরী গড়তে যে কোনো এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনায় এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন