কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ভিকারুননিসায় ভর্তি বাতিল

স্কুলে যেতে না পেরে মানসিক সমস্যায় শিক্ষার্থীরা

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভিকারুননিসায় ভর্তি বাতিল হওয়া অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলনে। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভিকারুননিসায় ভর্তি বাতিল হওয়া অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলনে। ছবি : সংগৃহীত

ভর্তি বাতিল হওয়ার পর ১৬৯ জন ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে, কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কেউ স্কুল ড্রেস পরে বসে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের মানসিক দিক বিবেচনা করে হলেও বাতিল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে ভিকারুননিসা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছে অভিভাবকরা।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান অভিভাবকরা। এর আগে একই দাবিতে বেইলি রোডে ভিকারুননিসার মূল শাখার সামনে মানববন্ধন করেছেন তারা।

অভিভাবকরা প্রশ্ন রেখে বলেন, তিন মাস স্কুলে যাওয়ার পর হঠাৎ স্কুল বন্ধ হওয়ায় তারা এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এই ১৬৯ জন শিক্ষার্থী বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে কোথায় ভর্তি হবে? কি তাদের ভবিষ্যত? কোন অপরাধে তাদের এই বিদ্যালয় ছেড়ে যেতে হবে?

তারা বলেন, অভিভাবক এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে এবং নানারকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের সবোর্চ্চ মহলের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছেন অভিভাবকরা। বিষয়টি ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক কায়সার হোসাইন বলেন, বয়সসীমার যে কথা এখন বলা হচ্ছে সেটা ভর্তির সময় কেন বলা হয়নি। আমরা সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনলাইন আবেদন করে ভর্তি করিয়েছি। মাউশি অধিদপ্তরের লটারির ফলাফলেও তাদের নাম ছিল। সেই তালিকা থেকেই ভিকারুননিসা স্কুল বাচ্চাদের ভর্তি করানো হয়েছে।

অভিভাবক মমতাজুর রায়হান বলেন, সব জায়গা বলা হচ্ছে এই বাচ্চাদের নাকি প্রভাব দিয়ে অবৈধভাবে, টাকার বিনিময়ে ভর্তি হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ প্রথম শ্রেণিতে কেন্দ্রীয় লটারির মাধ্যমে ভর্তির যোগ্যদের তালিকা করা হয়। সেই তালিকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার আরিফ হোসাইন বলেন, অনলাইন আবেদনে ৫টি স্কুল পছন্দ করার সুযোগ পায়। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখা সম্ভব না। এমনকি মাউশির সার্কুলারেও এ সংক্রান্ত কোন আদেশ ছিল না। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা যদি দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারে তবে এই ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য কেন ভিন্নতা হবে বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে গুম ও নির্যাতনের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের বার্তা

মাদ্রাসা ক্রিকেট চালুর চিন্তা বিসিবির, যা বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

রাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে একমাত্র বিজয়ী জাতীয় খেলোয়াড় নার্গিস

১৭ হলের ভিপি-জিএস-এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের ভূমিধস জয়

আরিয়ান একদম সুইটহার্ট: ঈশিকা দে

পুরো কলেজে একজন পরীক্ষার্থী, তবু ফেল

জানা গেল দুপুর পর্যন্ত কেমন থাকবে আবহাওয়া

রাকসুর কেন্দ্রীয় ২৩ পদের ২০টিতেই শিবিরের জয়

রাকসুর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা, কোন পদে কারা জয়ী

রাকসু নির্বাচনের ফল নিয়ে ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী এষার প্রতিক্রিয়া

১০

পদত্যাগ করছেন লাতিন আমেরিকার মার্কিন সামরিকপ্রধান

১১

ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু, প্রতি বিষয়ে ফি ১৫০ টাকা

১২

স্বর্ণ-রুপার আজকের বাজারদর জেনে নিন

১৩

হিনা খানের কণ্ঠে কৃতজ্ঞতার সুর

১৪

জিৎ গাঙ্গুলির কণ্ঠে হতাশা

১৫

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৬

পরপর ৩ জুমা না পড়লে যা ঘটে

১৭

হামাসকে ‘মারার’ হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

১৮

টিভিতে আজকের খেলা

১৯

আল-সুয়াইরাহ / এক জেলাতেই রেকর্ড ১ লাখ টন খেজুর উৎপাদন

২০
X