কোমরের মাপ, শরীরের ওজনের পাশাপাশি গলার মাপও যে স্বাস্থ্যের অবস্থার কথা বলে, তা অনেকেই জানেন না। অথচ গলার পরিধি মেপেই অনেক ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকির কথা জানা যায়। তাহলে কি গলার পরিধি মেপেই হার্টের রোগের আগাম সংকেত পাওয়া যেতে পারে?
চিকিৎসকদের দাবি, গলা যদি মোটা হয়, তা হলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ আরও কয়েক জটিল রোগে অকালমৃত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
গলার মাপকে এত কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?
হার্টের চিকিৎসক উদয়শঙ্কর দাস বলছেন, গলার পরিধি বেশি হওয়া আসলে শরীরের ভেতরে বাড়তি মেদ জমার লক্ষণ। গলার চারপাশে অতিরিক্ত চর্বি জমা মানে শরীরের উপরের অংশে ফেট বাড়ছে। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ইঙ্গিত দিতে পারে এটি। সাধারণত যাদের গলা ছোট ও মোটা, তাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় (এই সমস্যাকে স্লিপ অ্যাপনিয়া বলে)। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হার্টের অনিয়মিত স্পন্দন দেখা দিতে পারে। সব মিলিয়ে এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মাপ কত হলে সতর্ক হবেন?
একটি মাপের ফিতা দিয়ে গলার নীচের অংশের মাপ নিলেই বোঝা যাবে। চিকিৎসকদের মতে, পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৭ ইঞ্চির বেশি আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৫ ইঞ্চির বেশি হলে সতর্ক হওয়া দরকার।
কী ধরনের সমস্যা বাড়তে পারে?
* হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ
* ডায়াবেটিস
* উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল
* ঘুমের সময় শ্বাসকষ্ট (স্লিপ অ্যাপনিয়া)
কীভাবে রক্ষা পাবেন?
খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান থেকে দূরে থাকা আর পর্যাপ্ত ঘুম। এ সবই গলার মাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সূত্র : আনন্দ বাজার অনলাইন
মন্তব্য করুন