কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বিবৃতি

ড. কামাল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
ড. কামাল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ, গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া এবং আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে এর নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব জানিয়েছেন।

অরাজনৈতিক এ আন্দোলনকালে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীসহ অনেক শান্তিপ্রিয় নাগরিক নিহত, হাজার হাজার মানুষ আহত ও গণগ্রেপ্তার, গণনির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। হত্যা, নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক জড়িতদের শান্তির দাবি করেছেন তিনি।

বিবৃতিতে দেশবরেণ্য আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর আহত করা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার পরিপন্থি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

কামাল হোসেন বলেন, এই আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, যা কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে মনে রাখতে হবে মানুষের প্রাণের মূল্য দুনিয়ার সব সম্পদ বা স্থাপনার চেয়েও অনেক বেশি। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রাণহানি ও নাশকতার জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শান্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, এই অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, সারা দেশে আটক করা ছাত্র-জনতার মুক্তিদানসহ অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিল্পার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন সঞ্জয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২০ কিমি যানজট, যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে 

নাক ডাকার সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন সমাধান

বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু

বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা, যা বললেন নেহা

১২ শিক্ষকের সেই স্কুলে এবারও সবাই ফেল

দ্বিতীয় দিনের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শেষ

এসএসসিতে আমিরাতের ২ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৭২ শতাংশ

এক দেশে ৩৫%, অন্যদের ২০% শুল্কের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন

১০

গাজায় বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সেনা নিহত, উত্তেজনা চরমে

১১

প্রথম প্রেম ভুলতে পারেননি আনুশকা

১২

রাবিপ্রবিতে প্রথমবার ছাত্রদলের কমিটি

১৩

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় রংপুরের জয়

১৪

প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলেই ৭ পরিবর্তন আসবে আপনার

১৫

কক্সবাজারে এসএসসিতে ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৬

নদীতে সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর রোমহর্ষক বর্ণনা

১৭

যমজ দুই ভাইয়ের আশ্চর্যজনক ফলাফল

১৮

ছবিতে প্রথমে কী দেখতে পাচ্ছেন, উত্তরই বলে দেবে আপনি আসলে কেমন

১৯

৮ শিক্ষকের স্কুলে ৯ পরীক্ষার্থী, অথচ সবাই ফেল

২০
X