সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন লন্ডনে অবস্থানরত ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এ সন্তোষ প্রকাশ করেন ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্রিটেনের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এ কূটনীতিক।
পোস্টে সারা লিখেছেন, ‘এই সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাজ্যে স্বাগত জানাতে পেরে দারুণ ভালো লাগছে।’
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসের কর্মসূচির পরিধি দুই দেশের গণতন্ত্র, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পদক্ষেপ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে পৌঁছান। চার দিনের এই সরকারি সফরের মূল লক্ষ্য— যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নবায়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন মাত্রা যোগ করা।
এদিকে যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, ‘এটি অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক গভীর ও বহুমাত্রিক। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের প্রচেষ্টার সমর্থন পেতে লন্ডন সফর করছেন ড. ইউনূস।
ব্রিটিশ এ দৈনিককে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের চুরি করা তহবিল খুঁজে বের করতে তার সরকারকে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাজ্যের নৈতিকভাবে বাধ্যবাধকতা বোধ করা উচিত। চুরি হওয়া ওই অর্থের একটি বড় অংশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্টারমার এখনো তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার সরাসরি কোনো কথা হয়নি। স্টারমার বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
মন্তব্য করুন