সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধাভোগী গ্রেড সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখানে ‘গ্রেড’ বলতে টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড বা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ফলে পাওয়া স্কেল নয়, বরং সংশ্লিষ্ট পদের জন্য প্রযোজ্য মৌলিক (সাবস্টেনটিভ) গ্রেডকে বোঝানো হবে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থ বিভাগের ৩ জুন ও ২৩ জুন তারিখে জারিকৃত ১৬৫ নম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদানের ক্ষেত্রে ‘গ্রেড’ বলতে টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড বা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ফলে প্রাপ্ত স্কেল বা গ্রেড নয়, বরং সংশ্লিষ্ট পদের জন্য প্রযোজ্য সাবস্টেনটিভ (মূল) গ্রেডকেই বোঝাবে।
এর আগে, গত ২৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে বিশেষ সুবিধা সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে সামরিক ও বেসামরিক খাতের রাজস্বভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত ‘বিশেষ সুবিধা’তে কার কত টাকা বাড়বে- তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
এদিকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ। তবে সব নিবন্ধিত দলের কাছে হিসাব চাওয়া হলেও আওয়ামী লীগের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো হিসাব চায়নি ইসি।
ইসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। তবে অধিকাংশ ইসলামি দলসহ অনেক দল এখনো এ হিসাব জমা দেয়নি। কোনো দল চাইলে আবেদনসাপেক্ষে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
গত ৭ জুলাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়নি।
নিবন্ধন সংক্রান্ত শর্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পরপর তিন বছর হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। বর্তমানে ইসিতে মোট ৫১টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন