ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে যায়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
শুক্রবার পর্যন্ত পঙ্গু হাপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৮ জন। তাদের মধ্যে অনেককেই তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজখবর নিয়ে শনিবার আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
আহতদের খোঁজ নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে উপস্থিত সাংবাদিকদের রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, এখানে চিকিৎসাধীন অনেকেই বলেছে, তারা সর্বোচ্চ চিকিৎসাটা পাচ্ছেন না, তারা হতাশ। একজন অভিভাবক জানিয়েছেন, পুষ্টিকর খাবারের দরকার। কারণ অনেকের মাংস পেশি পচে গেছে। সবাইকে বলব, এদিকে যেন সবাই দৃষ্টি দেন, সর্বোচ্চ চিকিৎসাটা দেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে এখানে পাঠিয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে অনেককে সহযোগিতা করেছেন। এখান থেকে গিয়ে আমরা তাকে বিস্তারিত জানাব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও সহযোগিতা করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব আমরা করব। কিন্তু তাদের পুনর্বাসন করতে হলে সরকারকে করতে হবে।
রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, দেশে এখন পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না। এই সুযোগে ছাত্রজনতার জয়লাভকে নস্যাৎ করতে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে রাতের বেলা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। যেন এই বিষয়টা আমাদের জনগণ ভোগ করতে না পারে। তাদের অন্য কোনো বদ এবং অসৎ উদ্দেশ্য আছে। সরকারও চেষ্টা করছে এবং জনগণ চেষ্টা করছে।
চলমান পরিস্থিতিতে লুটপাটসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান বকুল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মাদ ইয়াহিয়া এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম প্রমুখ।