আগামী শীতের শুরুতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকারকে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে। কোনো সিটি করপোরেশনে স্বৈরাচারের অন্যায়ের শিকার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা করা হচ্ছে, কোনো সিটিতে সেটি হচ্ছে না। আবার বরিশাল সিটিতে মামলাই আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের দ্বিচারিতা রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী পারস্পরিক বোঝাপড়ার রাজনীতিকে পরস্পরবিরোধী রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এটা সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই মুহাম্মাদ রেজাউল করীম জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন রোধে পরস্পরবিরোধী দাবি ও কর্মসূচি থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
রাজনীতিতে একই বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে একাধিক এবং পরস্পরবিরোধী মতামত ও অবস্থান থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির। তিনি বলেন, আলোচনার টেবিলে, আইনের মাধ্যমে বা পরস্পর সমঝোতার মাধ্যমে এর সুরাহা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো আচরণ করা এবং মুখোমুখি কর্মসূচি নেওয়া সমীচীন হবে না।
মানবিক করিডোর নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, এই বিষয়ে পানি এতো ঘোলা হওয়ার আগেই ব্যাখ্যা তুলে ধরা যেত। তারপরও করিডোর বা চ্যানেল নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের ব্যাখ্যা ও বর্ণনার ওপরে আস্থা রাখতে চাই। একইসঙ্গে রেজাউল করীম চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের মতো বিষয়গুলো এড়িয়ে অন্যান্য সংস্কারের কাজে গতি আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনীতিতে উত্তাপ তৈরি হয় এমন বিষয়ে দলগুলোর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিন। কারণ, যেকোনো মূল্যে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করতেই হবে। তাতেই আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথ সুগম হবে।
মন্তব্য করুন