কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জুলাই বেচে খাওয়া শুরু করেছে অনেকেই’

সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

‘জুলাই নিয়ে ইতোমধ্যে যথেষ্ট চেতনা ব্যবসা হয়ে গেছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে’, এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত মো. আশিকুর রহমান হৃদয় (১৭) শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মূলত তার চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি তুলে ধরে এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

এ নিয়ে শনিবার (৫ এপ্রিল) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস লিখেছেন তিনি।

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘অবশেষে মারাই গেছে হৃদয়। ১৭ বছর বয়সী হৃদয় ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করত, গ্রামের বাড়ি ছিল পটুয়াখালীতে। ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয় হৃদয়। তার মাথার ভেতর তিনটা গুলি ছিল।’

‘গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা হয় তার, দুইটা গুলি বের করা সম্ভব হলেও আরেকটা বের করা সম্ভব হয়নি সেখানে। দরকার ছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু সেই ব্যবস্থা করা হয় নাই। আর গুলি বের করতে না পারায় তাকে এতগুলো মাস জ্বালা যন্ত্রণা নিয়েই থাকতে হয়েছে। থেকেই থেকেই গায়ে প্রচণ্ড জ্বর আসত।’

‘সম্প্রতি শরীরের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে উঠলে শুক্রবার দুপুরের দিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় তাকে। বিকাল ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে হৃদয়। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন—এই দোয়া করা ছাড়া আর কী করার আছে এখন!’

‘হৃদয়ের বাবা আনসার হাওলাদার বলেছেন, “ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারিনি। নিজের রিকশা ও একটি গরু বিক্রির টাকা দিয়ে যতটুক পেরেছি, ততটুক চেষ্টা করেছি। হৃদয়ের মাথার তিনটি গুলির দুটি বের করেছেন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা। আরেকটি গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে আমার ছেলে হয়তো বেঁচে থাকত।’

‘হৃদয়ের বড় ভাই সোহাগ ইসলামও আক্ষেপ নিয়ে জানিয়েছেন তার ভাইয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। সেটা হলে হয়ত বেঁচে যেতো সে।’

‘জুলাই নিয়ে ইতোমধ্যে যথেষ্ট চেতনা ব্যবসাও হয়ে গেছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে। জুলাই বেচে খাওয়া শুরু করেছে অনেকেই। কিন্তু কথাটা হলো হৃদয়দের কেন তাহলে ৮ মাস পরও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হলো না? নাকি মুখেমুখেই শুধু জুলাইয়ের চেতনা বিক্রি চলছে কিন্তু সত্যিকার অর্থে যেসব আহত ভাইয়েরা আছেন, তাদেরকে ইগনোর করা হচ্ছে?’

‘হৃদয়ের বাবা আনসার হাওলাদার যেই প্রসঙ্গ তুলেছেন, সেটার উত্তর দেওয়ার কোনো সক্ষমতা আছে জুলাইয়ের আহতের চিকিৎসা দেখভাল করার দায়িত্বশীলদের? জুলাই ফাউন্ডেশন কিংবা সরকারের? অথবা জুলাই নিয়ে যারা সারাক্ষণ চেতনার ব্যবসায় মজে আছে তাদের কারও?’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মনোনয়নের খবর শুনে উচ্ছ্বাস, স্ট্রোকে বিএনপি নেতার মৃত্যু

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা / সাবেক বিচারপতি-হুইপসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

ইসলামের বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

ববি উপাচার্য দপ্তরে ‘মুলা’ ঝুলিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ

ধেয়ে আসছে তীব্র শীত, দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ

‘বাকসু’ নিজেদের রাখতে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে ২ রাজনৈতিক দল

বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি সামিনের ‘অদ্ভুত’ ভালোবাসা

ডিসেম্বরেই তিনশ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে এনসিপি : সারজিস

দেশে এল তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি

১০

বাসচাপায় প্রাণ গেল দুজনের, সাংবাদিকসহ আহত ৩

১১

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ‘কারিগরি ক্রটি’, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় দেরি হতে পারে

১২

আপন দুই ভাই পেলেন বিএনপির মনোনয়ন 

১৩

বিপিএলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি চান লিটন

১৪

গাজায় বিতর্কিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যা করল ফিলিস্তিনিরা

১৫

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়

১৬

রেকর্ড ভেঙেও আকরামকে শীর্ষে রাখলেন স্টার্ক

১৭

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশে রদবদল, সিএমপি পেল ২২ জন

১৮

ব্রিটিশ সংসদে খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ

১৯

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

২০
X