মাজিয়ার কাছে হার দিয়ে এবারের এএফসি কাপ শুরু। আজ আবারও মালদ্বীপের ক্লাবটির বিপক্ষে পা হড়কানোর শঙ্কা জেগেছিল বসুন্ধরা কিংসের। এক গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে ২-১ গোলের জয়ে এএফসি কাপের আঞ্চলিক সেমিফাইনালের ভাগ্যটা নিজেদের হাতেই রাখল বাংলাদেশ লিগের চ্যাম্পিয়নরা।
এখন কিংসের কাছে সমীকরণ পরিষ্কার— উড়িশা এফসির বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতলে আঞ্চলিক সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। ১১ ডিসেম্বর সে ম্যাচে হার কিংবা ড্রয়ের পরও সেমির টিকিট পেতে পারে টানা চারবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। সেক্ষেত্রে উত্তরণটা ঝুলে থাকবে যদি- কিন্তুর ওপর।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় এএফসি কাপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচটি প্লে-মেকার রবসন রবিনিয়ো ও চার্লস দিদিয়েরকে বাইরে রেখে খেলতে হয়েছে। চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই খেলোয়াড়কে পায়নি বসুন্ধরা কিংস। বিদেশি কোটায় একাদশে আসেন এমফন উদোহ। ৩১ বছর বয়সী নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের স্বার্থপরতায় দ্বিতীয় মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগ নষ্ট করে বসুন্ধরা কিংস। সপ্তম মিনিটে আবারও এমফন উদোহর মতো পাস দেওয়ার একাধিক অপশন থাকার পরও দোরিয়েলতন গোমেজে নিজেই শট নেন।
ম্যাচের দশম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে বসে বসুন্ধরা কিংস। দুই দিক থেকে প্রেস করা মাজিয়া প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণকে ভুল করতে বাধ্য করে। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে একদম ভুল করেননি রেগান ওবেং। ৪২ মিনিটে ডানদিক থেকে বিশ্বনাথে ক্রসে সাদ উদ্দিন লাফিয়ে হেড করলে ছোট বক্সে এমফন উদোহর কাছে আসে, এ নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড বিস্ময়করভাবে বল বাইরে পাঠান!
বিরতির পর একপেশে ফুটবল খেললেও গোলমুখ খুলতে পারছিল না বসুন্ধরা কিংস। মিগুয়েল ফেরেইরা, দোরিয়েলতন গোমেজ, এমনফন উদোহদের মিসের মহড়ায় হতাশা বাড়ছিল। বদলি হিসেবে মাঠে আসা শেখ মোরসালিনও মিসের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। ৮১ মিনিটে স্কোরলাইন ১-১ করা গোলের নেপথ্য কারিগর অবশ্য তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারই। মোরসালিনের কর্নারে উজবেকিস্তানের সেন্টারব্যাক ববুরবেক ইয়ালদাশেভের হেডে সমতায় আসে স্বাগতিকরা।
৮৮ মিনিটে মিগুয়েল ফেরেইরার জয়সূচক গোলটি ছিল আসাধারণ। দোরিয়েলতন গোমেজের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান এ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে গোল হজমের পর ঘুরে দাঁড়াল বসুন্ধরা কিংস। মাজিয়ার কাছে হারের পর চার ম্যাচে এটি ছিল চতুর্থ জয়। কিংস অ্যারেনায় না হারার রেকর্ডটাও অক্ষুণ্ন থাকল।
মন্তব্য করুন