শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১১ হাজার মানুষকে

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মানুষকে। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান চলাচল। ৭২৫ মিটার উঁচু পর্বতের ওপর থেকে নিচের দিকে গড়িয়ে পড়ছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ধোঁয়া ও ছাইয়ের মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশে অবস্থিত মাউন্ট রুয়াং আগ্নেয়গিরিতে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত হয়। ৭২৫ মিটার উঁচু পর্বতের ওপর থেকে লাভা নিচের দিকে নির্গত হওয়ায় আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বুধবার আগ্নেয়গিরিটিতে আরও চারবার অগ্ন্যুৎপাত হয়। আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া ও ছাই। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের চারপাশের এলাকা জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ এলাকার পরিমাণ চার কিলোমিটার থেকে ছয় কিলোমিটারের বাড়ানো হয়েছে।

প্রাদেশিক রাজধানী মানাডো থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তরে অবস্থিত রুয়াং থেকে নিকটবর্তী তাগুলান্দাং দ্বীপে প্রাথমিকভাবে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো দরকার। তাদের মানাডোতে পাঠানো হবে বলেও জানান তারা।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার তথ্য, যোগাযোগ ও তথ্য কেন্দ্রের প্রধান আবদুল মুহারিকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদপত্র কম্পাস জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা কমপক্ষে ১১ হাজার ৬১৫ জন বাসিন্দাকে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে।

কর্মকর্তারা আরও আশঙ্কা করছেন, আগ্নেয়গিরির একটি অংশ ভেঙে সমুদ্রে পড়ে সুনামি সৃষ্টি করতে পারে। ১৮৭১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় এ রকম এক ঘটনা ঘটেছিল।

ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়গিরির নিচে লাল লাভার স্রোত এবং রুয়াংয়ের জ্বালামুখের ওপর ধূসর ছাইয়ের মেঘের স্রোত দেখা গেছে।

ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ এর আগে বলেছিলেন, রুয়াংয়ের প্রাথমিক অগ্ন্যুৎপাতের কারণে দুই কিলোমিটার (১ দশমিক ২ মাইল) উঁচু ধোঁয়ার স্তম্ভ সৃষ্টি করেছিল। দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাতে ধোঁয়া প্রায় আড়াই কিলোমিটার উঁচুতে ওঠে।

ইন্দোনেশিয়ার বিমান কর্তৃপক্ষ অন্তত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মানাডোতে স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পর্বতের কিছু অংশ সাগরে পড়ার পর সুমাত্রা এবং জাভা উপকূলে সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনে নতুন অভ্যুত্থান হবে’

এমএ আজিজ স্টেডিয়াম নিয়ে বিশৃঙ্খলা

‘রাজনৈতিক নেতাদের তোষামোদি না করে মেরুদণ্ড শক্ত করুন’

ঢাকাসহ ১২ জেলায় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

ফিদের স্বীকৃতি পেলেন ওয়াদিফা

নিরুত্তাপ লিগ শিরোপা তিতাস ক্লাবের

বিশ্ববাজারে আবারও কমল জ্বালানি তেলের দাম

দেশের প্রথম ব্যাংকার হিসেবে মবিন মাছুদের ৬৪ জেলা ভ্রমণ

সাতক্ষীরায় দেশীয় ওয়ান শুটার গানসহ যুবক আটক

ধর্মের নামে কোনো ভেদাভেদ চাই না : রহমাতুল্লাহ

১০

প্রথম শিরোপার আরও কাছে মোহামেডান

১১

৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল আর্জেন্টিনা ও চিলি

১২

যশোরে ‘মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ’ সন্দেহে অনুসন্ধান

১৩

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রধান কারিগর শ্রমিকরা : শিমুল বিশ্বাস

১৪

‘কেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ ভিডিও ক্যাম্পেইন, থাকছে পুরস্কার

১৫

কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে : হেফাজতে ইসলাম

১৬

শ্রমিক দল মোহাম্মদপুর-ভাটারা থানার কার্যক্রম স্থগিত

১৭

মাঠের বাইরেও ‘এল ক্লাসিকো’!

১৮

চট্টগ্রামে চিন্ময়ের জামিনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৯

ট্রাম্পের ঘোষণার পরই কমেছে সোনার দাম

২০
X