কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১১ হাজার মানুষকে

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মানুষকে। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান চলাচল। ৭২৫ মিটার উঁচু পর্বতের ওপর থেকে নিচের দিকে গড়িয়ে পড়ছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ধোঁয়া ও ছাইয়ের মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশে অবস্থিত মাউন্ট রুয়াং আগ্নেয়গিরিতে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত হয়। ৭২৫ মিটার উঁচু পর্বতের ওপর থেকে লাভা নিচের দিকে নির্গত হওয়ায় আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বুধবার আগ্নেয়গিরিটিতে আরও চারবার অগ্ন্যুৎপাত হয়। আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া ও ছাই। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের চারপাশের এলাকা জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ এলাকার পরিমাণ চার কিলোমিটার থেকে ছয় কিলোমিটারের বাড়ানো হয়েছে।

প্রাদেশিক রাজধানী মানাডো থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তরে অবস্থিত রুয়াং থেকে নিকটবর্তী তাগুলান্দাং দ্বীপে প্রাথমিকভাবে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো দরকার। তাদের মানাডোতে পাঠানো হবে বলেও জানান তারা।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার তথ্য, যোগাযোগ ও তথ্য কেন্দ্রের প্রধান আবদুল মুহারিকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদপত্র কম্পাস জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা কমপক্ষে ১১ হাজার ৬১৫ জন বাসিন্দাকে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে।

কর্মকর্তারা আরও আশঙ্কা করছেন, আগ্নেয়গিরির একটি অংশ ভেঙে সমুদ্রে পড়ে সুনামি সৃষ্টি করতে পারে। ১৮৭১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় এ রকম এক ঘটনা ঘটেছিল।

ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়গিরির নিচে লাল লাভার স্রোত এবং রুয়াংয়ের জ্বালামুখের ওপর ধূসর ছাইয়ের মেঘের স্রোত দেখা গেছে।

ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ এর আগে বলেছিলেন, রুয়াংয়ের প্রাথমিক অগ্ন্যুৎপাতের কারণে দুই কিলোমিটার (১ দশমিক ২ মাইল) উঁচু ধোঁয়ার স্তম্ভ সৃষ্টি করেছিল। দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাতে ধোঁয়া প্রায় আড়াই কিলোমিটার উঁচুতে ওঠে।

ইন্দোনেশিয়ার বিমান কর্তৃপক্ষ অন্তত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মানাডোতে স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পর্বতের কিছু অংশ সাগরে পড়ার পর সুমাত্রা এবং জাভা উপকূলে সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাতারাতি বেড়ে গেল কাঁচামরিচের দাম

হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারীরা ঢাকায় ঢুকে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

কারফিউতে অবসর সময় কীভাবে কাটাবেন

বাংলাদেশি সেলিমের মৃত্যুদণ্ড মালদ্বীপের হাইকোর্টে বহাল

শিক্ষার্থীদের কোনো হয়রানি করা হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাশিয়ার পরে নরেন্দ্র মোদি এবার ইউক্রেন সফরে

লালাখাল ধ্বংস করে অবাধে চলে বালু উত্তোলন

ইউক্রেনের সমরাস্ত্রের গোপন ডিপোতে রুশ হানা

পাক হানাদার বাহিনীর দোসররাই এ হামলা চালিয়েছে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী

কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১০

ভিপিএন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

১১

শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১২

অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়া বলে পরিচয় করায় ‘ফুঁসছে’ দক্ষিণ কোরিয়া

১৩

ঠাকুরগাঁওয়ে জ্বালানি তেলের সংকট

১৪

একদফা আন্দোলনের আহ্বান ছাত্রদলের

১৫

ডেমরার ডিএনডি খালে পড়ে থাকে কুকুর-বিড়ালের মৃতদেহ

১৬

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আপত্তি নেই যুক্তরাজ্যের

১৭

সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি

১৮

আলভারেজের দাম বেঁধে দিল ম্যানসিটি

১৯

জোট বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রাশিয়া-চীনের যুদ্ধবিমানের হানা

২০
X