কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুদ্ধে গেলেই মিলবে নগদ বোনাস, বাড়তি বেতন ও সুদমুক্ত ঋণ

ইউক্রেনের সেনা। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের সেনা। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউক্রেন। দেশটি তরুণদের জন্য নানা ‍সুবিধারও ঘোষণা দিয়েছে। এরপরও মিলছে না আশানুরূপ সাড়া।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের তরুণদের আকৃষ্ট করতে উচ্চ বেতন, এককালীন বোনাস এবং সুদমুক্ত হোম লোনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাতে সম্মুখ যুদ্ধে নামার শর্তে এই প্রস্তাব অনেকের কাছেই ‘মরণফাঁদ’ বলে মনে হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া এই নিয়োগ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০০ জনেরও কম তরুণ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সামরিক উপদেষ্টা পাভলো পালিসা। প্রাথমিকভাবে ছয়টি ব্রিগেডে সীমাবদ্ধ এই কর্মসূচি পরে ২৪টি ব্রিগেডে সম্প্রসারিত হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তিন বছরের যুদ্ধে বিপর্যস্ত, সৈন্যসংখ্যায় পিছিয়ে রয়েছে রাশিয়ার তুলনায়। শত শত তরুণের অংশগ্রহণ এখনো আশানুরূপ নয়।

সাম্প্রতিক নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন ২০ বছর বয়সী পাভলো ব্রোশকভ। তিনি বলেন, আমি চাই না আমার মেয়ে পোলিনা কখনো ‘যুদ্ধ’ শব্দটা শুনুক। আমার দায়িত্ব দেশের জন্য কিছু করা।

তিনি জানান, তার এক বছরের সামরিক পরিসেবার বিনিময়ে যে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে, সেটিও তার জন্য প্রলোভনস্বরূপ। এতে প্রায় ২,৯০০ ডলারের মাসিক বেতন, ১০ লাখ হৃভনিয়া (প্রায় ২৪,০০০ ডলার) বোনাস এবং একটি সুদমুক্ত বাড়ির ঋণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তবে এই স্বপ্নের পেছনে রয়েছে গভীর দুশ্চিন্তা। ব্রোশকভের ১৮ বছর বয়সী স্ত্রী ক্রিস্টিনা বলেন, টাকা একটা অনুপ্রেরণা হতে পারে, কিন্তু শুধু টাকার জন্য মরতে যাওয়া... সেটা কোনো অর্থ বহন করে না। মৃত্যু এখন আমার স্বামীর পেছনে ছুটছে, আর যে কোনো সময় তাকে ধরে ফেলতে পারে।

ইউক্রেন সরকার বলছে, এটি এখনো কর্মসূচির প্রাথমিক পর্যায়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, তরুণদের আস্থা অর্জনে কেবল আর্থিক সুবিধা যথেষ্ট নয়- দরকার নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের প্রতি আশ্বাস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাতনিকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১

গাজায় আরও অর্ধশতাধিক নিহত, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা অনেকে

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই : ফারুকী

শেষ হয়েছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ ধরতে প্রস্তুত ভোলার জেলেরা

পাট শ্রমিক দলের সভাপতি হলেন সাঈদ আল নোমান

সাতক্ষীরায় বিএনপির সার্চ কমিটিতে আ.লীগ

৩০ এপ্রিল : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১০

৩০ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

বিজেপি নেতার তোপে মোদি ও অমিত শাহ

১২

ইট মারলে আমরা পাথর ছুড়ব, ভারতকে ইসহাক দার

১৩

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী / ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত

১৪

নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে

১৫

সাড়ে সাত হাজার চিকিৎসকের পদোন্নতি আটকে

১৬

বগা সেতু বাস্তবায়নে উপদেষ্টার সঙ্গে ড. মাসুদের বৈঠক

১৭

মানবিক সহায়তা করিডোর বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের বিবৃতি

১৮

আর্সেনালকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা পিএসজির

১৯

স্বাস্থ্য পরামর্শ / ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনে পরিবর্তন প্রয়োজন

২০
X