ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে লোহিত সাগরে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইয়েমেন। এবার এ সাগরেই দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ফ্রান্স। দেশটির রণতরী লাঙ্গুইডক এ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সের সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, ইয়েমেনের নিকটবর্তী এলাকায় লোহিত সাগরে দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ফ্রান্সের যুদ্ধজাহাজ।
Interception dans la soirée de deux drones en provenance du Yémen par la FREMM Languedoc en mer Rouge. pic.twitter.com/2cug1Sn48C
— Armée française - Opérations militaires (@EtatMajorFR) December 9, 2023সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ইয়েমেনের উপকূলে থেকে এসব ড্রোন ছোড়া হয়েছিল।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এগুলো চিহ্নিত করা হয়। পরে এগুলো উপকূল থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে আল হুদায়দাহের কাছে ধ্বংস করা হয়। ফ্রান্সের এ যুদ্ধজাহাজটি লোহিত সাগরে জাতীয় চেইন অব কমান্ডের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আরবের সুন্নি রাষ্ট্রগুলোর মতো শুধু কথায় নয় বরং সরাসরি সামরিক পদক্ষেপও নিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনপন্থি এ গোষ্ঠীটি। তারই ধারাবাহিকতায় লোহিত সাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজে হামলা ও জব্দ করে আসছে হুতি সদস্যরা। তবে এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের এ গোষ্ঠীটি।
এখন থেকে আরব ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী যে কোনো জাহাজ ইয়েমেনের তাদের হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু বলে গণ্য হবে, এ ক্ষেত্রে জাহাজটি কোন দেশের মালিকানাধীন তা বিবেচনা করা হবে না। এর আগে শুধু ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইয়েমেন। স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটা জানান হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি।
জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, যদি গাজার মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য এবং ওষুধ না পায় তবে ইসরায়েলি বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করা সব জাহাজ আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। এ ক্ষেত্রে জাহাজটি কোন দেশের মালিকানাধীন তা বিবেচনা করা হবে না। এ ঘোষণা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে।
বিবৃতিতে সমুদ্র চলাচলের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব জাহাজ ও পরিবহন কোম্পানিগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য করার বিষয়ে সতর্ক করে হুতিরা। তারা জানায়, আরব ও লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ ও ইসরায়েলগামী যে কোনো জাহাজ বাদে অন্যান্য জাহাজ পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে চলাচল করতে পারবে।
মন্তব্য করুন