রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, পাল্টা আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে পাল্টা আক্রমণ কোন পর্যায়ে আছে বা কোন অঞ্চলে চলছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলবেন না বলেও জানান তিনি।
বিবিসি বলছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা পূর্বে বাখমুত এবং দক্ষিণে জাপোরিঝিয়ার কাছে অগ্রসর হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তারা রুশ লক্ষ্যবস্তুতে দূরপাল্লার হামলা চালিয়েছে।
তবে দুপক্ষই ভিন্ন দাবি করছে। ইউক্রেন বলছে, তাদের অগ্রগতি হচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে, তারা আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত শুক্রবার এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী আক্রমণ শুরু করলেও তাদের অগ্রগতির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের অনেক সৈন্য নিহত হয়েছে।
এদিকে বেলারুশে আগামী জুলাইয়ে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে বলে জানিয়েছেন পুতিন। ৭ ও ৮ জুলাই বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত হওয়ার পর এসব কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে বলে শুক্রবার জানান তিনি।
৭০ বছর বয়সী পুতিন এ যুদ্ধকে রাশিয়ার টিকে থাকার যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, মস্কো পিছপা হবে না।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, সব রুশ সৈন্যকে তার দেশ থেকে না সরানো পর্যন্ত ইউক্রেন বসে থাকবে না। ইউক্রেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় বলেও জানান তিনি।
এদিকে পুতিনের পারমাণবিক পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে দেশটির ন্যাটো মিত্র এবং চীন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে বারবার সতর্ক করছে তারা।
মন্তব্য করুন