সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হানিমুনে গিয়ে প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে খুন করলেন স্ত্রী

হানিমুনে যাওয়া দম্পতি। ছবি : সংগৃহীত
হানিমুনে যাওয়া দম্পতি। ছবি : সংগৃহীত

হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে হত্যা করেছেন স্ত্রী। প্রেমিকার সহায়তায় স্বামীকে হত্যা করেন তিনি। পুলিশ তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (০৯ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোরের এক ব্যক্তির মেঘালয়ে হানিমুনে যাওয়ার সময় হত্যার ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত রাজা রঘুবংশীর (২৯) স্ত্রী সোনাম (২৪) পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিলেন এবং তিনি তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে মিলে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন।

গত ২৩ মে থেকে রাজা ও সোনাম নিখোঁজ ছিলেন। এক সপ্তাহ পর ২ জুন রাজার মৃতদেহ একটি গিরিখাতে পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর সোনাম ৮ জুন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। মেঘালয় পুলিশের মতে, তিনি চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করেছেন। এরপর তাকে ও তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজার ভাই বিপুল রঘুবংশী জানান, রাজ কুশওয়াহা ছিলেন সোনামের কর্মচারী এবং তারা প্রায়ই ফোনে কথা বলতেন। তিনি বলেন, আমি রাজ কুশওয়াহাকে কখনও দেখিনি, শুধু তার নাম শুনেছি। তনি সরাসরি সোনামের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও বলেন, যদি রাজ জড়িত থাকে, তবে সোনামের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, দম্পতি প্রথমে গৌহাটির কামাখ্যা মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু হঠাৎ মেঘালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিপুল বলেন, কে মেঘালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, তা আমরা জানি না। তারা ফিরতি টিকিটও বুক করেনি।

সোনামের জীবিত ফিরে আসা পরিবারের কাছে সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজার আরেক ভাই সচিন বলেন, সোনাম জীবিত থাকায় প্রশ্ন উঠছে। রাজাকে হত্যা করা অন্য ব্যক্তিরা কারা?

গত ১১ মে রাজা ও সোনাম বিয়ে করেন। এরপর তারা ২০ মে হানিমুনের জন্য রওনা দেন। ২১ মে তারা শিলংয়ে পৌঁছান এবং ২৩ মে একটি পর্যটন স্থানে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।

সোনামের পরিবার তার পক্ষে দাঁড়িয়ে বলেছে, তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। সোনামের বাবা দেবী সিং বলেন, আমার মেয়ে এটা করতে পারে না। তাদের বিয়ে দুই পরিবারের সম্মতিতে হয়েছিল। গত রাতে সে গাজীপুরের একটি ধাবায় এসে তার ভাইকে ফোন করে। পুলিশ সেখান থেকে তাকে নিয়ে যায়। তিনি মেঘালয় পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প তৈরির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

রাজার পরিবারও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে। বিপুল বলেন, দুজনেই তাদের বিয়েতে খুশি ছিলেন। আমি কখনও তাদের ঝগড়া করতে দেখিনি। পুলিশ এখনো আমার ভাইয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়নি।

রাজার মা উমা রঘুবংশী বলেন, সোনামের আচরণ ভালো ছিল। যদি সে জড়িত না থাকে, তাকে অভিযুক্ত করা উচিত নয়। কিন্তু যদি জড়িত থাকে, তবে তাকে ফাঁসি দেওয়া উচিত।

মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত, যাদের মধ্যে দুজন ইন্দোর ও একজন উত্তরপ্রদেশের লালিপুরের বাসিন্দা। এ বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন নোট নিচ্ছে না এটিএম বুথ

আল-নাসরেই থাকার ইঙ্গিত রোনালদোর

২০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে না পাঠিয়ে কোথায় পাঠাল ট্রাম্প

৯ বছরের বড় জয়নবকে বিয়ে করলেন আখিল

সাবেক সংবাদ উপস্থাপকের মৃত্যু নিয়ে কী জানালেন মা

ঈদের ছুটি শেষে মাঠে ফিরেই অনুশীলনে ক্রিকেটাররা

নড়াইলে স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার, সেই যুবক ছাত্রলীগ করতেন

সব ম্যাচই এখন ক্যাবরেরার চোখে ফাইনাল

জুলাই আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো মুবিনের পাশে তারেক রহমান 

ডুসাকের সেমিনার ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

১০

আগামী ২৫ বছর হজ পড়বে না গরমকালে, জানাল সৌদি পঞ্জিকা

১১

রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার চায় বিএনপি : সালাহউদ্দিন

১২

‘উৎসব’ সিনেমায় আর্টসেল ব্যান্ডের কালজয়ী গান

১৩

প্রয়াত শ্রমিক দল নেতার পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সায়েম

১৪

লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা 

১৫

ঈদের ছুটিতে সোনারগাঁয়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

১৬

জুন মাসেই এনসিপির নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে : সারজিস

১৭

তরুণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে : শফিকুর রহমান

১৮

খুবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৯

রোডম্যাপের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কেটে গেছে : মুজিবুর রহমান মঞ্জু

২০
X