

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটে প্রেমিকার লাথিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভাঙতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম সাগর মণ্ডল (৫০)। তিনি বিবাহিত। তার সঙ্গে ধানতলা থানা এলাকার একটি রেলস্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়িতে বসবাসকারী এক বিবাহিত নারীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ওই নারী পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে সন্তানকে নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন। খবর আনন্দবাজারের।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সাগর মণ্ডল ওই নারী ও তার সন্তানের দেখভাল করতেন। এ কারণে নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের উপেক্ষা করছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। সম্প্রতি ওই নারী সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
শনিবার রাতে সাগর মণ্ডল প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে রেলস্টেশনের পাশে একটি অন্ধকার গলির মুখে তার সঙ্গে প্রেমিকার ছেলের বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয় বলে জানা গেছে। ওই সময় প্রেমিকা সেখানে এসে সাগর মণ্ডলের যৌনাঙ্গে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর নিহতের পরিবার প্রেমিকা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেছে। তবে অভিযুক্ত দুজনই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সংসার ছেড়ে ওই নারীর সঙ্গে থাকতেন। তিনি দাবি করেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
মন্তব্য করুন