ভারতীয় এক কমান্ডোর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অংশ নেওয়ায় অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়েছেন ওই কমান্ডো।
বুধবার (২৫ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। আসামির দাবি, তিনি ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অংশ নিয়েছেন। এছাড়া তিনি ২০ বছর ধরে ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো হিসেবে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন। এজন্য তিনি আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
বিচারপতি উজ্জ্বল ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই অপারেশনে অংশগ্রহণ তাকে বাড়িতে নৃশংসতা করার ছাড়পত্র দেয় না। মামলায় হাইকোর্ট তার দোষী সাব্যস্তকরণ এবং নিম্ন আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছে।
বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া কড়া মন্তব্য করে বলেন, আপনার এই দাবিই প্রমাণ করে আপনি কতটা শারীরিকভাবে সক্ষম, আর ঠিক সেই ক্ষমতাই আপনি আপনার স্ত্রীকে হত্যার জন্য ব্যবহার করেছেন। এটি কোনো হালকা অপরাধ নয়। এই ধরনের নৃশংস হত্যার ক্ষেত্রে আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতির আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। অব্যাহতি তখনই দেওয়া হয় যখন সাজা ৬ মাস, ৩ মাস বা ১ বছরের হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, যে দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তার মক্কেলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তারা নিহতের আত্মীয়। বেঞ্চ আইনজীবীর এই যুক্তি আমলে না নিয়ে আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন এবং তার আপিলের ওপর নোটিশ জারি করেন। তাকে আত্মসমর্পণের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের জুলাই মাসে পাঞ্জাবের অমৃতসর আদালত স্ত্রী হত্যার মামলায় আসামীকে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন