ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর পোলিও রোগ। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় টিকা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমনকি এজন্য ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি, যা আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ডব্লিউএইচও তিন দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বললেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার বিপরীত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় পোলিও টিকার মধ্যে সাধারণ যুদ্ধবিরতির দাবিটি মিথ্যা।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় পোলিও টিকার মধ্যে যুদ্ধবিরতির দাবি সত্য নয়। এ সময় ইসরায়েল শুধু একটি মানবিক করিডোরের অনুমতি দেবে যার মধ্য দিয়ে ভ্যাক্সিনেটররা প্রবেশ করতে পারবেন এবং সীমাবদ্ধ কিছু এলাকাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নিরাপদ ঘোষণা করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় পোলিওর প্রাদুর্ভাব এবং আঞ্চলিকভাবে মহামারি আকারে এর সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
এর আগে ফিলিস্তিনের রামাল্লার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চিকিৎসকরা গাজার ১০ মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে পোলিওর উপসর্গ শনাক্ত করেছেন। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোগটি ধরা পড়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার বর্জ্য পানি থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় গত জুনে টাইপ-২ পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। জাতিসংঘ মহাসচিব উপত্যকার ছয় লাখ ৪০ হাজারের বেশি শিশুকে সাত দিন করে দুই দফার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। এরপরই পোলিও সংক্রমণের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও প্রথম ধাপে তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।
শুক্রবার ফিলিস্তিনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বলেন, রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে গাজায় পোলিওর টিকা দেওয়া শুরু হবে। এ তিন দিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সময়ে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এ সময়েই টিকা দেওয়া হবে।
গাজায় পয়োব্যবস্থার অভাব, স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিবন্ধকতা ও টিকা সংকটে পোলিওর ভয়াবহ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি এটি ইসরায়েলেও ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন