কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সীমান্ত বাড়িয়ে সৌদি আরবে ঢুকতে চায় ইসরায়েল?

নেতানিয়াহুর হাতে গ্রেটার ইসরায়েলের মানচিত্র। ছবি : সংগৃহীত
নেতানিয়াহুর হাতে গ্রেটার ইসরায়েলের মানচিত্র। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের হটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উড়ে এসে জুড়ে বসে ইহুদিরা। পরে সেখানে তারা গঠন করে ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র। এরপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাসহ বিভিন্ন যুদ্ধ আর দখলবাজির মাধ্যমে তারা প্রতিবারই বাড়িয়ে নিয়েছে নিজেদের পরিধি। সেখানে তারা গড়ে তুলেছে ইহুদি বসতি। কিন্তু তাতেও ক্ষুধা মেটেনি তাদের। প্রতিবারই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েল বাড়িয়েছে নিজেদের স্বার্থ আর সামাজ্য।

পশ্চিমা সমর্থিত ইসরায়েলের লোভাতুর দৃষ্টি কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে সে ব্যাপারে পরিষ্কার একটি ধারণা দিয়েছেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। এক প্রামাণ্যচিত্রে তিনি তুলে ধরেছেন ইসরায়েলের সীমানাবৃদ্ধির পরিকল্পনার রূপরেখা। এতে ওই মন্ত্রী বলেন, নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য জর্ডান নদীর পূর্বে থাকা অঞ্চলগুলিও তাদের দরকার। পূর্ব থেকে আসা যে কোনো আক্রমণ যেন প্রতিহত করা যায়।

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের এমন বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, ফ্রান্স-জার্মানভিত্তিক নিউজ ম্যাগাজিন আর্টে রিপোর্টেজ থেকে নির্মিত ‘ইন ইসরায়েল : মিনিস্টারস অব কেয়াস’ নামের প্রমাণ্যচিত্রটি মুক্তি পেয়েছে চলতি মাসে। সেখানেই ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ইহুদি রাষ্ট্রের বিস্তৃতি নিয়ে কথা বলেন।

ডকুমেন্টারিতে স্মোট্রিচ আরও জানান, এটি লিখিত আছে, জেরুজালেমের ভবিষ্যত প্রসারিত হবে দামেস্কে। যাকে বলা হচ্ছে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’। এর পক্ষে ধর্মীয় ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছেন চরম ডানপন্থি এই মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, কেবল জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন, ইরাক, মিশরই নয়, বরং সৌদি আরবের অঞ্চলও অন্তর্ভুক্ত হবে বৃহত্তর ইসরায়েলে। ইসরায়েলি জনগণের মাঝে যা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনাকে আগ্রাসী এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করছে আরব রাষ্ট্রগুলো। অনেকেই মনে করছেন, ইসরায়েল যদি সত্যিই তার সীমান্তকে সম্প্রসারণ করে, তাহলে ফিলিস্তিনীদের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হবে আরও অসংখ্য জাতিগোষ্ঠীকে। শুরু হতে পারে সংঘাতের নতুন অধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে এই পরিকল্পনা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হতে দেওয়া হবে না : সেলিমুজ্জামান

জাপানে বিএনপির রাষ্ট্রবিনির্মাণের ৩১ দফা প্রচারণা

জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

এল ক্লাসিকোর আগে কষ্টের জয়ে শীর্ষে রিয়াল

জবি ছাত্রদল নেতা খুন : বংশাল থানা অবরোধ

ঢাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি 

বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে : মিডিয়া সেল 

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন হবে : এসএম জাহাঙ্গীর

অ্যানফিল্ডে এক দশকের অভিশাপ ভাঙল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

রূপনগরে আগুন / ডিএনএ শনাক্তের পর ১৬ মরদেহ পেলেন স্বজনেরা

১০

জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক 

১১

সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : বাসস চেয়ারম্যান

১২

রোমাঞ্চকর জয়ে ভারতকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

১৩

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

১৪

‘আগুন লাগার ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে’

১৫

কিডনি রোগীদের জন্য যে ১০ খাবার নিষেধ

১৬

গাজায় আবারও ইসরায়েলের বিমান হামলা 

১৭

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৮

আ.লীগের কেন্দ্রীয় ১ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

হোটেলে নাশতা খেয়ে শিশুসহ ৬ জন অজ্ঞান

২০
X