কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যে কৌশলে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে তুরস্ক

এরদোয়ান ও সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ছবি : সংগৃহীত
এরদোয়ান ও সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ছবি : সংগৃহীত

বাশার আল আসাদকে হটানোর পর এবার সিরিয়ার সেনাবাহিনীর ওপরও নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে সিরিয়ায় প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী করার নকশা বাস্তবায়নের পথে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

জানা যায়, হায়াত তাহরির আল শাম তথা এইচটিএসের ক্ষমতা গ্রহণের পর সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের পদোন্নতি হয়েছে। যাতে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে বিদেশি যোদ্ধারা। এমন অবস্থায় দেশটির সামরিক বাহিনীর ওপর বিদেশি প্রভাব নিয়ে আলোচনা উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দেশটির সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন করছে হায়াত তাহরির আল শাম। এরই অংশ হিসেবে প্রায় অর্ধশত নতুন সামরিক কমান্ডারের নাম ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে কমপক্ষে ছয়জন বিদেশি রয়েছেন যারা কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদায় নিয়োগ পেয়েছেন।

আল-শারা স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া দুজনকে মেজর জেনারেল পদে, ৫ জনকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে এবং ৪২ জনকে কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়েছে। এদের মধ্যে এইচটিএসের সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল মুরহাফ আবু কাসরাকে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।

নতুন এই তালিকায় এইচটিএসসহ বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন কমান্ডারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব সামরিক কর্মকর্তা সেনাবাহিনী ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই পদোন্নতি পেয়েছেন।

নিয়োগপ্রাপ্ত এসব বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে তুরস্ক, জর্ডান ও চাইনিজ উইঘুর সম্প্রদায়ের নাগরিক রয়েছেন বলে জানায় অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্র। বিদেশি নাগরিকদের সেনাবাহিনীর উচ্চপদে নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে দেশটির ভিতরে এবং প্রবাসী সিরীয়দের মধ্যে নানা আশঙ্কা দানা বেঁধেছে।

গৃহযুদ্ধের সময় আসাদবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে বিদেশি যোদ্ধাদের যোগদান সিরিয়ানদের মধ্যে তীব্র অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। তবে এসব যোদ্ধাদের নিজস্ব আদর্শ সিরীয় সমাজে বাস্তবায়নের আগ্রহ সিরিয়ানদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বলছেন, আসাদ পরবর্তী সিরিয়ায় তারা কট্টরপন্থী কোনো শাসন চান না।

মনে করা হচ্ছে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য এসব বিদেশি যোদ্ধাদের উচ্চপদে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এমনকি দেশটিতে থাকা বিদেশি যোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সিরিয়ার নাগরিকত্বও দেওয়া হতে পারে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বিদেশি যোদ্ধাদের প্রতি এমন দৃষ্টিভঙ্গি সিরিয়ায় নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর সফল রূপান্তরকে জটিল করে তুলতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১

মুখ খুললেন তানজিন  তিশা

ভূমিকম্প নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি

বাংলাদেশ শ্রমবাজার জরিপ-২০২৫–এ ‘দক্ষতা ও চাহিদা’ অংশ সম্পন্ন করলো বিএমই

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের চুক্তিতে শুরু হচ্ছে ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স

মায়ের সুতোয় ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন

দল থেকে সুখবর পেলেন বিএনপির ২০ নেতা

একদিনই ইসরায়েলি বাহিনী ‘২৭ বার যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে’

এনআইডি কার্যক্রম সংশোধনে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ : নৌবাহিনী প্রধান

১০

বাংলাদেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন এখনো চালু না হওয়ার কারণ

১১

তাজরীনের আগুনে ঝলসে যাওয়া স্মৃতি, ১৩ বছর পরও শ্রমিকদের আর্তনাদ

১২

নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ব্যয় বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

১৩

কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত

১৪

এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

১৫

মাছের ঘের থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

১৬

শুটিং সেটে গুরুতর আহত, প্রযোজকের কথা ভাবলেন শ্রদ্ধা

১৭

আঁধারে শেষ ২০ বিঘা সবজি ক্ষেত

১৮

বানিয়ে নিন মচমচে ফুলকপির পকোড়া

১৯

মুক্ত আকাশে ফাঁদে আটকা ৯০টি শালিক পাখি

২০
X