কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত, গাজায় বাড়ছে অনাহারে মৃত্যু

গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ। ছবি : সংগৃহীত
গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সব আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

এদিকে গুলি-বোমা ছাড়াও অনাহারে প্রাণহানি বাড়ছে। উপত্যকাটিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে দুজন শিশু। এ নিয়ে অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে। যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) এসব প্রাণহানি ঘটে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেক আহত-নিহতকে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপেরও নিচেও অনেকে আটকা পড়ে আছেন। তাদের সংখ্যাও তালিকাভুক্ত নয়।

এদিকে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, গাজার ভয়াবহ মানবিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ঘোষণায় বলা হয়েছে, তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ১০ ঘণ্টার জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত রাখছে এবং নতুন ত্রাণ করিডর চালু করেছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত (স্থানীয় সময়) আল-মাওয়াসি, মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ এবং উত্তরের গাজা শহরে সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখা হবে। এই অঞ্চলগুলোকে ‘মানবিক এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের এই ঘোষণার মধ্যেই জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় বহুদিন পর আবারও আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে। জর্ডান সরকার জানিয়েছে, তারা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথভাবে প্রথম দফায় গাজায় ২৫ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্যারাশুটের মাধ্যমে পাঠিয়েছে। তবে জর্ডান স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই এয়ারড্রপ কোনোভাবেই সড়কপথে ত্রাণ পৌঁছানোর বিকল্প নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু

মোহাম্মদপুরের সেই ওসির পক্ষে মানববন্ধন মাদককারবারিদের

একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন প্রস্তাব আহ্বান

মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে কাজ করছি : ড. আনিসুজ্জামান

ফাহিম ফয়সালের সুফি গান

শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট, বর্তমান অবস্থান কত

এইচএসসিতে জিপিএ-২.৫ নিয়েই বিজিবিতে চাকরির সুযোগ

দুই হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি দেবে ডিএনসিসি

বিএসইসির কমিশনার হলেন সাইফুদ্দিন

জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় এনসিপি

১০

প্রত্যেক ইঞ্চি মাটি থেকে মুজিববাদ বিতাড়িত করব : নাহিদ

১১

‘জুলাই সনদ’ নিয়ে শিবির সভাপতির হুঁশিয়ারি

১২

পেহেলগামের হামলাকারীদের সবাই নিহত : পার্লামেন্টে অমিত শাহ

১৩

রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৪

ভুয়া র‍্যাবকে ধাওয়া দিয়ে ধরল আসল র‍্যাব, গণপিটুনি

১৫

জুলাই সনদের খসড়া অসম্পূর্ণ, কিছু অংশ বিপজ্জনক : জামায়াত

১৬

বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে কাস্টিং কাউচ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

১৭

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুরের ফ্ল্যাট জব্দ, হিসাব ফ্রিজ

১৮

সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

১৯

চট্টগ্রামে নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু, তদন্তে উঠে এলো মৃত্যুর ৮ কারণ

২০
X