ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে গোয়েন্দা ড্রোন উড়ানো বন্ধ রাখবে ইসরায়েল ও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩ নভেম্বর রয়টার্স জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের খোঁজে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ড্রোন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এসব ড্রোন এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজার আকাশে উড়ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, জিম্মিদের অবস্থান শনাক্তে সহায়তা করার জন্য গাজার আকাশে গোয়েন্দা ড্রোন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এসব ড্রোন গাজার আকাশে উড়ছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১৪০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। হামাসের এ হামলার পর থেকে ইসরায়েলে অবস্থানরত ১০ মার্কিন নাগরিকের কোনো খোঁজ মিলছে না। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এসব মার্কিন নাগরিকদের হামাস ধরে নিয়ে গেছে এবং গাজাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন টানেলে তাদের রাখা হয়েছে।
বেশ কয়েক দিনের দরকষাকষির পর বুধবার সকালে গাজা উপত্যকায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল ও হামাস। এরপর হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক আলজাজিরাকে বলেছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই যুদ্ধবিরতি গাজার সব এলাকায় কার্যকর হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজার আকাশে ইসরায়েলের কোনো যুদ্ধবিমান বা সাধারণ বিমান চলাচল করবে না।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।
মন্তব্য করুন